সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: চাঁদার নামে 'জুলুমবাজি'র (money extortion) অভিযোগ তুলে এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paraganas) অশোকনগরে (Ashoknagar)। 'পায়ের নীচে মাটি নেই বলেই এমন অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস', কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। চাঁদা তোলা বন্ধ না হলে, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি (BJP)।

  


পোস্টারে চাঁদা-তরজা


শাসকদলের মদতে জোর করে ব্যবাসীয়দের থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে! এই পোস্টার ঘিরেই শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে চাঁদার নামে 'জুলুমবাজি'। শাসকদলের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ গোটা এলাকা। অশোকনগর স্টেশন, গোলবাজার এলাকা জুড়ে এই পোস্টারে রয়েছে ছাত্র পরিষদের নাম। তাতে অভিযোগ তোলা হয়েছে, নানা অনুষ্ঠানের নামে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হচ্ছে। নেপথ্যে শাসকদলের মদত রয়েছে বলে ভয়ে মুখ খুলছেন না ব্যবসায়ীরা।

উত্তর ২৪ পরগনার ছাত্র পরিষদের সভাপতি পাপাই ঘোষ বলেন, 'জোর করে চাঁদা নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাহস নেই বলে অভিযোগ করেনি।' তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। অশোকনগরের বিজেপি নেতা বাপি মিস্ত্রি বলেন, 'নারায়ণ গোস্বামীর নেতৃত্বে চাঁদার জুলুমবাজি চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছে এ ব্যাপারে শুনেছি। প্রয়োজনে বড়সড় আন্দোলন করব।'

অন্যদিকে, অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার তৃণমূল নেতা ও পুর পারিষদ শ্রীকান্ত চৌধুরীর পাল্টা দাবি, 'কংগ্রেসের পায়ের নীচে মাটি নেই বলেই জমি তৈরি করতে তারা এমন পোস্টার লাগিয়েছে।'


আরও পড়ুন: Hiran Meets Suvendu : দল বদলের জল্পনার মধ্যেই শুভেন্দু-সাক্ষাৎ হিরণের, কী নির্যাস বৈঠকের ?

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কখনও আবাস যোজনায় দুর্নীতি, কখনও দলীয় কোন্দল, কখনও বা চাঁদার জুলুমবাজি। একের পর এক অভিযোগ ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূল।


প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনারই বারাসাতে (Barasat) ফুটবল টুর্নামেন্টের (Football Tournament) নাম করে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। ঘটনায় কটাক্ষ করে বিজেপি। অভিযোগ ওঠে, ওই অনুষ্ঠানের নাম করে স্থানীয় বাসিন্দা ও খড়িবাড়ি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছেন কীর্তিপুর ১ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি মান্নান আলি। টাকা দিতে রাজি না হলে, মারধর ও খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।