সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : দত্তপুকুরে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে মন্ত্রীর সামনে বিজেপি নেতাকে চড় মারার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। চড়া যিনি মেরেছিলেন তিনি তো অধরাই। এখন আক্রান্তের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল।
মারধরের অভিযোগ
দত্তপুকুর থানায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাগর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন এক তৃণমূল কর্মী। শনিবার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই বিজেপি নেতাকে সপাটে চড় কষান তৃণমূল কর্মী শিবম রায়। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার পর ২ দিন কেটে গেলেও, শাসকদলের ওই কর্মী এখনও অধরা।
আরও পড়ুন :
DA নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের কী নির্দেশ, আজ শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় নিন্দায় সরব বিজেপি। 'এটাই বাংলার মানুষের সুরক্ষাকবচ।' কটাক্ষ BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্যর। উল্টে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, প্ররোচনা দিতে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা, তাই হয়ত প্ররোচিত হয়ে চড় কষান তিনি। সেই সঙ্গে চড়ের নিন্দা করেন কুণাল।
' দিদির দূতরা যেখানে যাচ্ছেন, বকাঝকা খাচ্ছেন। মন্ত্রীর সামনে অভিযোগকারীকে পেটাচ্ছে, এরা সব গুন্ডা, সমাজবিরোধী। এরাই এখন তৃণমূলকে চালাচ্ছে। ' জেলায় জেলায় দিদির দূত কর্মসূচিতে বিক্ষোভ ও মন্ত্রীর সামনে অভিযোগকারীকে চড়কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে, শনিবার দত্তপুকুরের বিজেপি নেতা সাগর বিশ্বাসের কপালে জুটেছিল সপাটে চড় ! খাদ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও, চড়কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী শিবম রায়কে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে আক্রান্ত বিজেপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী শিবম রায়ের বিরুদ্ধে ৩২৩-এ মারধর, ৩৪১-এ বাধা এবং ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকির অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে সবকটি ধারাই জামিন যোগ্য। অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, শনিবার ঘটনা ঘটার পর থেকেই আর বাড়ি ফেরেননি শিবম! সুইচড অফ রয়েছে তাঁর মোবাইল ফোন।