সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল (Central Team) আসার আগে, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার (Deganga) দক্ষিণ কলসুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির নতুন অভিযোগ উঠল। অভিভাবকদের অভিযোগ, ডিম, কমলালেবু নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে ছবি তোলার পর, তা নিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক। 


মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির নতুন অভিযোগ: এই মাস থেকেই, স্কুল পড়ুয়াদের মেনুতে ডিম, মাংস ও মরসুমি ফল যোগ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মতো উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার এই স্কুলের পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছেছিল কমলালেবু। পাতে পড়েছিল ডিম। কিন্তু পেটে ঢোকেনি কোনওটাই। অভিযোগ, খাওয়ার জন্য় নয়। ছবি তোলার জন্য পড়ুয়াদের দেওয়া হয় এইসব! ছবি তোলার পর, ক্ষুদেদের হাত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ডিম, কমলালেবু। দেগঙ্গার কলসুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই মারাত্মক অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পডুয়াদের সংখ্যাতেও গরমিলের অভিযোগ উঠেছে।


এক অভিভাবকের অভিযোগ, “বাচ্চাদের মুখ থেকে খবর পেয়েছি, ৫-১০জন বাচ্চা আসে। ৪৫-৫০ জন সিগনেচার করছে। ডিম, কমলালেবু দেওয়া নেওয়ার পর হেড স্য়র ছবি তুলে সেগুলো নিয়ে নিয়েছে।’’ শনিবার প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে, স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষক অবশ্য অভিযোগ কিছুটা স্বীকার করে নিয়েছেন।


দক্ষিণ কলসুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমাদের অফিস থেকে বলা হয়েছে, আপনাদের সপ্তাহে ২০ টাকা দেওয়া হবে। যদি আপনারা ছবি করে না পাঠান, তাহলে দেওয়া হবে না। আমরা আগের দিনই দিয়েছিলাম। সেদিন ক্য়ামেরা ছিল না তাই ছবি তোলা হয়নি। একটা কমলার দাম ৮টাকা। ডিম ৭টাকা। আমাদের ৬টা ৬৬ পয়সা করে দেওয়া হয়। ফেরত নিয়েছি। এটা উচিত হয়নি। ভুল হয়েছে।’’

পঞ্চায়েত ভোটের আগে, পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে ডিম, মুরগির মাংস ও মরসুমি ফল যোগ হওয়ায়, অতিরিক্ত ৩৭১ কোটি ৯০ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি সপ্তাহে পড়ুয়া পিছু আরও ২০ টাকা করে খরচ বাড়বে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই পুষ্টি ঠিকমতো পৌঁচচ্ছে তো পড়ুয়াদের কাছে? সেই প্রশ্নই তুলে দিল দেগঙ্গার দক্ষিণ কলসুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের এই ঘটনা।


আরও পড়ুন: Birbhum : 'জলের ব্যবস্থা না করলে ভোট কাউকে নয়', ময়ূরেশ্বরে 'দিদির দূত'-কে বার্তা