সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: জমি-বিবাদের (land controversy) জেরে ছিঁড়ে নেওয়া হল গৃহবধূর (housewife) কান (ear)। এমনই অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার (deganga) শিমুলিয়ায়। জমি সংক্রান্ত বিবাদ চরমে ওঠায় 'আক্রান্ত' গৃহবধূ। বাঁচাতে তাঁর দুই ছেলেও আক্রান্ত হন বলে অভিযুক্ত ৩ জন পলাতক, সন্ধান চালাচ্ছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। 


কী জানা গেল?
এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ জানানো না হলেও প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে ওই প্রৌঢ়া আজ সকালে যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, এক প্রতিবেশি মহিলা ও তাঁর স্বামী ওই প্রৌঢ়ার উপর চড়াও হয়। কান ছিঁড়ে নেওয়া হয় সে সময়ই। মহিলাকে মারধরের সময় তাঁর দুই ছেলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে যেটা উঠে এসেছে তাতে স্পষ্ট, জমি নিয়ে দুই পড়শির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই গণ্ডগোল ছিল। সম্ভবত সেই গণ্ডগোল থেকেই হামলা চলে বলে ধারণা। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। গত অক্টোবরে জমি নিয়ে সংঘর্ষের জেরেই রক্তারক্তি ঘটেছিল মালদার হরিশচন্দ্রপুরে। এদিনের ঘটনার ভয়াবহতা সেই কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে অনেককেই।


কী ঘটেছিল?
সে বার জমি নিয়ে বচসা থেকে হাতাহাতি, মারামারির জেরে বিবদমান দু’পক্ষেরই ১৩ জন আহত হন। জোর করে জমি দখল করে রাখার অভিযোগ তোলে এক পক্ষ। অন্য পক্ষের দাবি, জমির আসল কাগজপত্র তাদের কাছেই। তাই জমির মালিকানাও তাদের। এ নিয়ে খামোকা ঝামেলা পাকানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশবাহিনী। মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লক্ষ্মণপুর মিসকিমপুরের ঘটনা। রক্তারক্তিকাণ্ড ঘটে যাওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আহতদের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর বলে বলে জানা যায়। সংঘর্ষের কারণ? দুই বিঘা জমি। ওই জমির মালিকানা নিয়ে তিন মাস ধরে ঝামেলা চলছিল রাহানুল এবং আফতাবউদ্দিনের মধ্যে। ঘটনার দিন সকালে সেই বিবাদই রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। মুহূর্তের মধ্যে তা বদলে যায় রক্তারক্তি কাণ্ডে। পরস্পরের উপর হামলা চালান উভয় পক্ষের লোকজনই। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। এবার কার্যত এক ছবি দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার শিমুলিয়ায়। 


 


আরও পড়ুন:রাজ্যের মিড-ডে মিলে এবার মুরগির মাংসও, বরাদ্দ অতিরিক্ত