উত্তর ২৪ পরগনা: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) এবার গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শঙ্কর আঢ্য (Arrested Bangaon Municipality former chairman Shankar Adhya)। ইডির জালে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। এদিন সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি ও সিআরপিএফ। ১৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর এবার শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


শেষ অবধি পাওয়া খবরে, কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শঙ্কর আঢ্যকে। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতার একাধিক ঠিকানায় এদিন তল্লাশি চালায়  ইডি।কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। 


বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি। বনগাঁরই শিমূলতলায় শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুরবাড়িতে এদিন তল্লাশি চালানো হয়।গাইঘাটায় শঙ্কর আঢ্যর ভাই মলয় আঢ্যর আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।শঙ্কর আঢ্যর কর্মচারী বিশ্বজিৎ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।বনগাঁ শঙ্কর আঢ্যর কর্মচারী অঞ্জন মালাকারের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাশাপাশি বাঘাযতীনে তাঁর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। মেট্রোপলিটনে শঙ্কর আঢ্যর সহযোগী বাবলু দাসের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।


প্রসঙ্গত, ঠিক কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের 'দুর্নীতি'র জাল? মন্ত্রী নিজেই কি নেমেছিলেন ধান ব্যবসায়? খোদ মন্ত্রী চেম্বারেই 'খাজানা'র খোঁজ পেল ইডি? ইডি সূত্রে সামনে এল অবাক করে দেওয়ার মতো তথ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, খাদ্য দফতর থেকে সরে যাওয়ার পরে, বন দফতরে বসেই খাদ্য দফতরে দুর্নীতি-চক্র চালিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাকিবুর বা অন্য কারও মাধ্যমে নয়, নিজেই নাকি ধান ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের দফতরে হানা দেওয়ার পর, এমনটাই মনে করছে ইডি ED।


আরও পড়ুন, সন্দেশখালি হামলাকাণ্ডের জন্য 'মুখ্যমন্ত্রীকে' দায়ি করলেন শুভেন্দু


রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) এখন জেলে, ইতিমধ্যেই তাঁর দফতরে হানা দিয়েছে ইডি (ED)। রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় এই প্রথম কোনও মন্ত্রীর দফতরে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি (Central Agency)।  কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের (Central Force) নিয়ে সল্টলেকের অরণ্য ভবনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অফিসে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা (ED Officer)। খাদ্য দফতরের পর বন দফতরের মন্ত্রী হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বন দফতরের অফিসে (Forest Department Office) খাদ্য দফতরের কোনও নথি পাওয়া যায় কি না, তার খোঁজেই গতবছরের শেষে হানা দিয়েছিল ইডি (ED)।