সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: ফের ব্যারাকপুর (barrackpore) বটতলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের (fire) ঘটনা। এবার বাড়ির ভিতরের গ্যারেজে ভস্মীভূত (burnt) গাড়ি (car)। গত কাল মাঝ রাতে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে তৃতীয় বার অগ্নিকাণ্ড হল ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের বটতলা এলাকায়।
কী হয়েছিল?
রাত প্রায় দুটো। হঠাতই বটতলা এলাকার বাসিন্দা খোকন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির ভেতরে থাকা গ্যারেজে আগুন লেগে যায়। ব্যক্তিগত গাড়িতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের লালচে শিখা দেখে তড়িঘড়ি এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করেন তাঁরাই। তবে এক সঙ্গে খবর যায় টিটাগড় থানা ও দমকলেও। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। টিটাগড় থানার পুলিশও এসেছিল। এর আগে গত রবিবার ও শুক্রবার রাস্তার ধারে দুটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দুটি ঘটনাও ঘটেছিল রাত দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে। স্বাভাবিক ভাবেই পর পর এমন অগ্নিকাণ্ডে সন্দেহের আবহ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অজয় দাস ও সুচন্দন বিশ্বাস নামে দুই বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে খোলাখুলিই জানালেন, তাঁরা আতঙ্কিত। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তের উপর থেকে ভরসা হারাননি তাঁরা।
ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড আগেও...
গত বছর মে মাসে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল নিউ ব্যারাকপুরের একটি কারখানায়। কারখানার ৪ শ্রমিক বেশ কিছু ক্ষণ নিখোঁজ থাকলে থাকলেও পরে তিন তলার ছাদে ওঠার সিঁড়ি থেকে তাঁদের দগ্ধ দেহ পাওয়া যায়। দমকলের অনুমান ছিল, তাঁরা সম্ভবত ছাদে উঠে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। দেহগুলি উদ্ধার করে দমকল। মৃতদের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরা দেহগুলি শনাক্ত করেন। পরে এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কারখানার মালিক অজয় লক্কড়কে। অনিচ্ছাকৃত খুন ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করে তদন্তও শুরু হয়। কিন্তু যে ভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেল ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের বটতলা এলাকায়, তাতে বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা ভাবতে পারছেন না স্থানীয়দের অনেকেই। কেন হচ্ছে এরকম? নেপথ্য়ে কি নির্দিষ্ট কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে না এ শুধুই দুর্ঘটনার সমাপতন? পুলিশ-প্রশাসন কি এর পরও সতর্ক হবে না? জানতে চান তাঁরা।
আরও পড়ুন:'কোথাও যাইনি', যাদবপুরের বাড়ি থেকেই এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় দাবি মানিক ভট্টাচার্যের