সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্প্রে মেশিনে (spray machine) লুকিয়ে সোনা (gold) পাচারের (smuggle) চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ (BSF)। ১৯টি সোনার বিস্কুট-ও (gold biscuit) বাজেয়াপ্ত করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) আধিকারিকরা। উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণ ২ কেজি ২১৬ গ্রাম। 


কী হয়েছিল?
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তে চোরাচোলানের ঘটনা নতুন নয়। প্রতি দিনই নিত্যনতুন উপায়ে চোরাচালানের অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোরাচালান আটকেছে, এমন ঘটনার নজিরও কম নয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর এমনই ঘটনা ঘটে বলে খবর। সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন ৬৮ নম্বর বাহিনীর সীমা চৌকি মামাভাগিনার জওয়ানেরা একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চালান। তাতেই সাফল্য মেলে বলে খবর। বিএসএফ জানিয়েছে, স্প্রে মেশিনের মধ্যে লুকিয়ে পাচার করা সোনার ১৯টি বিস্কুট উদ্ধার হয়। এই বিস্কুটগুলি স্প্রে মেশিনে লুকিয়ে নিয়ে এসেছিল এক বাংলাদেশি চোরাচালানকারী। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের দেখে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় সে, জানা গিয়েছে এমনই। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ১৪ লক্ষ ২ হাজার ৫০৩ টাকা। সেগুলি এর মধ্য়েই বাগদা শুল্ক দফতরে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফের ৬৮ নম্বর বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার, যোগেন্দ্র অগ্রবালের বক্তব্য, 'চোরাকারাবারিরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে নিত্যনতুন ভাবে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের জওয়ানদের সতর্কতার কারণে তাদের পরিকল্পনা সফল হয় না।' সীমান্তরক্ষী বাহিনী যে আন্তর্সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সে কথাও ফের মনে করিয়েছেন তিনি। 


অতীতেও এক ঘটনা 
গত জুলাইয়েই প্রায় এক ধরনের আরও একটি ঘটনার সাক্ষী ছিল বিএসএফ। সে বার বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময় সাড়ে ৪১ কেজি সোনা উদ্ধার হয়! সে বার বনগাঁর গুনারমাঠ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। সূত্রের খবর মেলে, ইছামতীতে নৌকা করে পাচারের সময় ২১ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল সোনা পাচারকারীরা। তার পরই ওই নৌকা থেকে ৩২১টি সোনার বিস্কুট, ৪টি সোনার বার, ১টি সোনার কয়েন উদ্ধার হয় যার বাজারমূল্য ছিল ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। পাচারকারীদের মোবাইল ফোনও বিএসএফের হাতে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও কেন পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না সোনা পাচার? কোথাও কি কিছু ফাঁক থেকে যাচ্ছে এখনও?কী করলে পাচারকারীদের চেনা পথ বন্ধ করা যাবে? প্রশ্ন উঠেছে, উঠছে। বারে বারেই। কিন্তু উত্তর কোথায়?
এখনও স্পষ্ট নয়। 


আরও পড়ুন: উনি নেই বলে যা ইচ্ছা করছ! বেরোলে তোমাদের হবে, বোলপুরে দিলীপের মুখে কেষ্টনাম