সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূল সদস্যদের আনা অনাস্থায় অপসারিত হলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধান! উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার কুমড়া গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটনা। দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সরব পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যরা। দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই পদ থেকে সরানো হল তাঁকে। পাল্টা অভিযোগ অপসারিত প্রধানের।
দলের সদস্যর বিরুদ্ধেই অনাস্থা
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের অনাস্থা। আস্থা ভোটে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। পুরভোট মিটে যাওয়ার একমাসের মধ্যে, দলের সদস্যদের অনাস্থার মুখে পড়ে পদ খোয়াতে হল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার কুমড়া গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানকে। কুমড়া গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিপ্লব হালদার বলেন, "জেনারেল মিটিংয়ে হিসেব দিতেন না। ধমকে চমকে বন্ধ করে রাখতেন। জেনারেল মিটিংয়ে রেজলুশনে সই করতে হয়। ব্ল্যাঙ্ক রেজলুশনে সই করিয়ে নিতেন আমাদের দিয়ে।" অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য পদ হারিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন।
কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অপসারিত প্রধান রত্না বিশ্বাস বলেন, "অটোর থেকে টাকা, টোটোর থেকে টাকা, পঞ্চায়েতে যে টেন্ডার হবে তার থেকে কাটমানি দিতে হবে, আমার দলের নাম করে কাটমানি দিতে হবে, এইগুলোর যখনই বিরোধিতা করেছি, তখনই আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। ছলে বলে কৌশলে আমাকে সরানো হল।"
অনাস্থা ভোটে পরাজিত পঞ্চায়েত প্রধান
২৯ আসনের কুমড়া গ্রামপঞ্চায়েতের সবকটি রয়েছে তৃণমূলের দখলে। বুধবার আস্থাভোটে উপস্থিত ছিলেন ২৪ জন তৃণমূল সদস্য। ২৪ জন সদস্যের ভোটই দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে গিয়েছে। হাবড়ার তৃণমূল কংগ্রেস (এসসি এসটি সেল) এর সভাপতি বাপি মজুমদার বলেন, "উনি বিধানসভা ভোটে হাবড়ার বিধায়কের হয়ে কাজ করেননি। দলবিরোধী কাজ করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্য ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। বিজেপির সঙ্গে আঁতাত। দলের ক্ষতি হচ্ছিল। তাই অপসারণ।"
তৃণমূলের অনাস্থায় অপসারিত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তৃণমূল সূত্রে খবর, জানুয়ারিতে কুমড়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয়েছিল। তৃণমূলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও, শেষ পর্যন্ত সেই সরতেই হল প্রধানকে।