সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে, গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে।                       


সেটা ছিল ১৩ই মার্চ। ৬ দিনের মাথায় ১৯ মার্চ পাশের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নয়াবস্তিতে ফের খুনের ঘটনা ঘটে। তার মাত্র ৩দিনের মধ্যে ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে জেরে শিরোনামে উঠে এল উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি। কাউন্সিলর খুনের এলাকার অদূরে, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এক কারখানা মালিককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।         


কারখানা মালিকের অভিযোগ, কিছুদিন আগে ৫০ হাজার টাকা তোলা চায় এলাকারই কয়েকজন দুষ্কৃতী। রাজি না হওয়ায় বুধবার তাঁর কারখানায় এসে চড়াও হয় জনা ১৪-১৫জন দুষ্কৃতী। রড-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এর আগেও ২০ হাজার টাকা তোলা চাওয়া হয়। অনুপম দত্ত খুনের পর আক্রান্ত কারখানার মালিক। গড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। 


আরও পড়ুন, "কাজ না করে এনজয় করলে চাকরির দরকার নেই", পুলিশকে কড়া বার্তা মমতার


ঘটনায় কমল ঘোষ ওরফে ভোলা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে খড়দা থানায়। অভিযোগকারী কারখানার মালিক জয়ন্ত সেন বলেন, "কোভিড পরিস্থিতিতে অনেক কষ্ট করে কারখানা দাঁড় করিয়েছি। আগেও তোলা চায়। কাউন্সিলরের সঙ্গে থাকে। ইলেকশনের সময় ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল। মারধর করেছে।"                                        


কারখানার মালিকের অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর তারক গুহ বলেন, "আমার কোনও ব্যাপার নেই। নিজেদের ব্যাপার।" উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি যুব মোর্চার আহ্বায়ক জয় সাহা বলেন, "এখানেও চলছে তোলাবাজি।"


যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, তোলাবাজি নয়, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে হামলা হয়। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।