সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paragana) হালিশহরে (Halisahar) আক্রান্ত হলেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর (Councilor)। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি (BJP) নেতার দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। 


ঠিক কী ঘটেছে?


নিজের ওয়ার্ডেই আক্রান্ত হলেন হালিশহরের তৃণমূল কাউন্সিলর। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান তৃণমূল কাউন্সিলর টুনা নায়েক। সেখান থেকে বেরোনোর সময় কয়েকজন ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে।


আরও পড়ুন, উত্তাল নদীতে জলের তোড়ে ভাঙল নৌকা, কোনক্রমে বাঁচল তিন প্রাণ


কী অভিযোগ? 


দীর্ঘদিন বিজেপির হাতে থেকে হালিশহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড, এবার পুরভোটে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ, সেই আক্রোশেই হামলা হয়। হালিশহরের আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলর টুনা নায়েক বলেন, "বিজেপির কিছু ছেলে যারা সমাজবিরোধী, ভোটের পর থেকে কিছু ছেলে বোমাবাজি করছে। ওদের লোকজনই এসব করাচ্ছে। এটা ওদের প্ল্যান ছিল। ফেলে মারধর করে।" 


হালিশহরের তৃণমূল কংগ্রেস টাউন সভাপতি  প্রবীর সরকার বলেন, "মানুষ রুখে দাঁড়াবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিকার করা হবে। ভোটের দিনেও বিজেপি এখানে বোমাবাজি করে। বিজেপি এলাকাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।" অন্যদিকে, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি বিনোদ বাবু বলেন, "আমাদের দলে কোনও দুষ্কৃতী নেই। এধরনের কাজ আমরা করি না। যারা এসব বলছে তারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করে একে অপরের উপর হামলা চালাচ্ছে।" 


রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তৃণমূল কাউন্সিলরকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পরে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও, ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি।