শিবাশিস মৌলিক, বসিরহাট: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) প্রতিবাদে বিজেপির বসিরহাটের (BJP March To Basirhat Office) এসপি অফিস অভিযানে তুলকালাম। এসপি অফিসের সামনে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। ব্যারিকেড (B ভেঙে এগিয়ে যান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ হঠাতে পাল্টা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করল পুলিশ। রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, পুলিশ ইটও ছুড়েছে। ট্রেনে বসিরহাট পৌঁছে, বাইকে চেপে এসপি অফিস রওনা দিয়েছিলেন সুকান্ত। এদিকে
বসিরহাটের এসপি অফিস সংলগ্ন ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বসিরহাটের এসপি অফিসের সামনে ব্যারিকেডও ছিল। তার পর এই ঘটনা। 


কী পরিস্থিতি?
একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। তাতে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ড্রোনে নজরদারি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি, মাইকে করে সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে বার্তা ছিল, যা বক্তব্য ভিড় সামলানোর দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের জানান।  ১৪৪ ধারা মেনে চলার অনুরোধ করা হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু ধস্তাধস্তি জারি থাকে। এর মধ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দাবি করেন, দলের মহিলা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। 


প্রতিবাদ বামেদেরও ...
মঙ্গলবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামে বাম শ্রমিক সংগঠনও। সিটু দফতর থেকে নিজাম প্যালেস পর্যন্ত মিছিল করে তারা, এতে সামিল ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও। এক দিকে, যথন ইটবৃষ্টি, কাঁদানে গ্যাস, ধস্তাধস্তির জেরে তুলকালাম বসিরহাটের এসপি অফিসের বাইরে, তখনই সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, '১৪৪ ধারা জারি করতে হলে এলাকা নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করতে হবে। কোন কোন এলাকা উত্তেজনা প্রবণ, সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে।' সঙ্গে আরও জানানো হয়, এলাকায় আরও বেশি সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। 'কতটা অঞ্চল জুড়ে উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই। ১৪৪ ধারা জারির আগে আরও ভালভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা উচিত ছিল', নির্দেশে জানান বিচারপতি সেনগুপ্ত। 
গত কাল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর কাছে অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় সন্দেশখালির বাসিন্দা একাধিক মহিলাকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি অভিযোগ করেন,'বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে।' যদিও পুলিশ পরে জানায়, গত কাল পর্যন্ত যে ৪টি লিখিত অভিযোগ এসেছে, তার একটিতেও এমন কোনও কিছু নেই। জনরোষের টানা বিস্ফোরণ, রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিবাদ এবং আজকের ছবি--সব মিলিয়ে সন্দেশখালি ঘিরে টানা তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।


আরও পড়ুন:'TMC-কে ঢুকতে দিলে খণ্ডযুদ্ধ হবে', সন্দেশখালিতে ঢোকার আগে বাধা পেয়ে হুঙ্কার কংগ্রেসের