সমীরণ পাল, বারাসাত: ভারত (India)-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বারাসাত (Barasat) পুলিশ (Police) জেলা। সীমান্তবর্তী আমডাঙা, গোবরডাঙা, হাবড়া, দেগঙ্গা-সহ ১৬টি জায়গায় বসানো হচ্ছে ৩৪টি সিসি ক্যামেরা (CCTV Camera)।


ব্যারাকপুর কমিশনারেট, বনগাঁ পুলিশ জেলা ও বারাসাত পুলিশ জেলার অন্তর্গত সীমান্তবর্তী এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে চলবে নজরদারি। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের মোবাইল ফোনে থাকবে এই সব সিসি ক্যামেরার লিঙ্ক। দুষ্কৃতীরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। সম্প্রতি আমডাঙার করুণাময়ী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় বিশেষভাবে কাজে লাগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। তারপরই এই উদ্যোগ বারাসাত জেলা পুলিশের।                                     


সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাখি পাচার রুখল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিরল প্রজাতির ৪৬টি টিয়াপাখির বাচ্চা।  বিএসএফ জওয়ানদের কাছে খবর আসে, স্বরূপনগরের সোনাই নদীর দিয়ে বাংলাদেশে পাখি পাচার করা হচ্ছে। এই খবর পেয়েই বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে ছুটে গেলে পাচারকারীরা খাঁচা ভর্তি পাখি ফেলে রেখে চম্পট দেয়। চারটি খাঁচা ভর্তি বিরল প্রজাতির ৪৬টি টিয়াপাখির বাচ্চা উদ্ধার করে বি এস এফ। একইভাবে স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে শতাধিক বিরল প্রজাতির টিয়াপাখির বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছিল। আজ ফের পাখির বাচ্চা উদ্ধার করা হল। উদ্ধার করার পর বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে পাখির বাচ্চাগুলিকে বসিরহাটের বন দফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।                                                                        


ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার, চোরাচালানের কথা প্রায়ই শোনা যায়। মাঝেমধ্যেই বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের গ্রেফতারও করেন। কয়েক মাস আগেই স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে এক কোটি ২৭ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ২৪টি সোনার বিস্কুট সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।