সমীরণ পাল, বনগাঁ: ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নয়া চাঞ্চল্য। এবার একটি চিনা ড্রোন উদ্ধার হল। চিনের তৈরি ড্রোন উদ্ধার হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পেট্রাপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কীভাবে এই ড্রোন এল তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
এই ড্রোন উদ্ধার করল পেট্রাপোল থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ড্রোনটি ৫০০ গ্রাম ওজনের বস্তু বহনে সক্ষম।
জানা যায় একেবারে ৩০০ মিটার ব্যাসার্ধ্বের মধ্যে একটি জমিতে এই ড্রোন পড়ে থাকে। কৃষকরা প্রথমে এটি দেখে এবং অনেকটাই অবাক হয়ে যান তাঁরা। এরপর আশেপাশের গ্রামেও খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরপর পেট্রাপোল থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায় এটি চিনে তৈরি। কিন্তু পেট্রাপোল সীমান্তে কে বা কারা এই ড্রোন পাঠিয়েছে তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। সীমান্তে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কোনও কিছু পাচারের উদ্দেশে কী পাঠানো হয়েছিল এই প্রশ্নও উঠছে। বনগাঁ থানার পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনে বিএসএফ এর সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এদিকে, হাওড়ায় JMB জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার ব্যক্তির কাছ থেকে প্রচুর পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে ওই ৪ জন। তাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি, পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন আনসারি। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে ৪ জনকেই মাদ্রাসা শিক্ষক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে প্রথমে তাদের উত্তরপ্রদেশ, পরে মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হয়। ২ মাস আগে ওই ৪ জন ফের এরাজ্যে আসে।
জেরার সময় আনসারি জানিয়েছেন, পুরুলিয়ায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনার সময় তিনি জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি।