সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আজ ২৪ তম দিন। যুদ্ধ থামার নামই নেই। ক্রমেই বাড়ছে হিংসা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। রক্তক্ষয় বাড়ছে। এরই মধ্যে সারা বিশ্ব থেকে যুদ্ধ বন্ধ করার চাপে রাশিয়া। সেখানও আছেন অনেক ভারতীয়। ইউক্রেনের মতো রক্ত না ঝরলেও, নানাদিক থেকে চাপে রাশিয়া। বিশেষত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন হয়ে পড়ছে।


যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দলে দলে দেশে ফেরার স্রোত দেখা গিয়েছে এতদিন। অপারেশন গঙ্গা মারফত সে-দেশ থেকে দলে দলে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনছিল ভারত সরকার। এবার যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়া থেকে দেশে ফিরলেন বাঙালি পড়ুয়া। শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের নপাড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন চিরশ্রী মণ্ডল। রাশিয়ার পার্ম স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিনি। 

গত জানুয়ারিতেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সোভিয়েত মুলুকে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু হামলা তো চলছে ইউক্রেনে। যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতিও সেখানেই। তাহলে রাশিয়া ছেড়ে কেন চলে আসতে হল চিরশ্রীকে? ছাত্রীর মুখেও ধরা পড়ল সে-দেশের দুরাবস্থার কথা। ' কোনও এটিএম কাজ করছে না। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তাই বাধ্য হয়ে চিরশ্রী বারাসাতের বাড়িতে ফিরেছেন। ' 


যুদ্ধ কতদিন চলবে বুঝতে পারছি না। এরপর যদি টাকার দরকার হয়, কীভাবে ফুলফিল হবে তা ও বুঝতে পারছিলাম না। সেই কারণেই ফিরে আসা। জানালেন চিরশ্রী। রাশিয়া ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়ার মাও আশ্বস্ত মেয়েকে ফিরে পেয়ে। তিনি জানালেন, ' ফোনে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, ফেসবুকও বন্ধ । চিন্তা বাড়ছিল। ' 


৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ইউক্রেন তো ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেই, সেই সঙ্গে ম্যারাথন যুদ্ধে রুশ অর্থনীতিও ধুঁকতে শুরু করেছে বলে বিভিন্নমহল সূত্রে খবর। সম্প্রতি ফিনান্সিয়াল টাইমস ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চিনের কাছে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। চিরশ্রী জানিয়েছেন, রুশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত অনলাইনেই পড়াশোনা চলবে তাঁর।