সমীরণ পাল এবং সন্দীপ সরকার, কামারহাটি: ভয়াবহ রূপ ধারণ করল ডায়েরিয়া। ইতিমধ্যেই কামারহাটিতে ডায়েরিয়ার প্রকোপে ২ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে ৯ জন।  শুধু তাই নয়, ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আনা হল ৬৮ জনকে।


ডায়েরিয়ার সাগর দত্তের জরুরি বিভাগে এখন রোগীর ভিড় উপচে পড়ছে। বমি, পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আনা হচ্ছে অসুস্থদের। কামারহাটির ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে ক্রমশ। কেএমডিএ না কামারহাটি জুট মিলের জল থেকে সংক্রমণ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


এদিকে স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোনও তথ্য না মেলার অভিযোগ নাইসেডের। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, ‘এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তথ্য না দেওয়া দুঃখজনক। গত মাসে উঃ ২৪ পরগনা থেকে আসা নমুনায় কলেরার সংক্রমণ রয়েছে।' কামারহাটিতে পানীয় জল থেকে সংক্রমণ নিয়ে সন্দেহ নাইসেডের। অন্যদিকে,নাইসেডের অভিযোগ নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি স্বাস্থ্য দফতরের। 



কয়েক সপ্তাহ আগে বাঁকুড়ার বোলাড়া গ্রামে থাবা বসিয়েছিল ডায়রিয়া। প্রায় ৪০ জন আক্রান্তের খবর শোনা গিয়েছিল। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা, বমি, পেটে ব্যথা-সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে স্বাস্থ্য দফতরের ধারণা মনসা পুজোয় প্রসাদ খেয়ে বিষক্রিয়ার কারণেই এই ঘটনা। গ্রামবাসীদের দাবি নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জলের যথেষ্ট কল নেই গ্রামে। অভাবে নলকূপের দূষিত জল খেতে গিয়েই এই বিপত্তি  ঘটেছিল।


গ্রামে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পেতেই গ্রামে যায় স্বাস্থ্য দফতরের টিম। আক্রান্ত গ্রামবাসীদের  ও আর এস সহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। পরীক্ষার জন্য গ্রামের পানীয় জলের উৎস হিসাবে থাকা দুটি নলকূপের জলের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর।  পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন দফায় দফায় গ্রামে যান বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা।