সমীরণ পাল, শ্যামনগর:  চিকিৎসকরা ঈশ্বরের রূপ। করোনা আবহে তো চিকিৎসকদের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মানুষ। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল, এই সঙ্কটকালেই চিকিৎসার নামে উঠছে বিস্তর অভিযোগ। 


কর্ণাটকের এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে, বাংলায় বসে চিকিৎসা করছিলেন অন্য এক জন। এই অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


নদিয়ার কল্যাণীর পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। ধৃতের নাম শেখ আজগর আলি। আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও, থাকতেন উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। শ্যামনগরের একটি পলিক্লিনিকে রোগী দেখতেন তিনি।


অভিযোগ, নিজেকে মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিতেন এই ব্যক্তি। শ্যামনগর পলিক্লিনিকের মালিক বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ৬ মাস হল পলিক্লিনিং করেছি। আজগর আলি এখানে বসতেন। নিজেকে ডিগ্রিধারী বলে দাবি করতেন। ভেরিফাই করার কথা বললেই বলতেন উপরমহলে জানাও। যাঁরা দেখিয়েছেন, প্রত্যেকে রিপোর্ট ভাল বলেছেন। তাই সন্দেহ হয়নি।


পুলিশ সূত্রে খবর, জগদ্দল থানায় শেখ আজগর আলির নামে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ জানিয়েছিলেন একজন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযোগকারী বলেন, উনি ভাল ডাক্তার ছিলেন। তবে একবার আমাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছিলেন, সেটা খেয়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।


গত জুলাইয়ে নদিয়ার কল্যাণীতে, অ্যালবার্ট রাসেল ফারুকি নামে, এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর মহিলা চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চেম্বার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। 


এর আগে, তামিলনাড়ুর মহিলা চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চেম্বার চালানোর অভিযোগে নদিয়ার কল্যাণীতে গ্রেফতার হন এক ভুয়ো চিকিৎসক। ধৃত অ্যালবার্ট রাসেল ফারুকি হুগলির বাসিন্দা। 


শুধু এমবিবিএস ও এমডি পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করা নয়, ধৃত ব্যক্তি ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেকে এসএসকেএম-এর অধ্যাপক বলেও পরিচয় দিতেন বলে অভিযোগ। 


অভিযুক্তের সম্পর্কে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে জানতে চেয়ে আবেদন করেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। উত্তরে জানানো হয়, এআর ফারুকি নামে কারও রেজিস্ট্রেশন নেই। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের অভিযোগ ছাড়াও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে ।