কলকাতা: এবার পুরভোটে টিকিট পেলেন বিধায়ক মদন মিত্রর কনিষ্ঠ পুত্রবধূ মেঘনা মিত্র। কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মেঘনা। এদিকে একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি টিকিট পাবেন না, এদিন প্রার্থীতালিকা ঘোষণার সময়ই এই নীতি জানান হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। ব্যতিক্রম ঘটিয়ে প্রার্থী করা হল বিধায়ক মদন মিত্রর পুত্রবধূকে। যদিও তৃণমূলের প্রকাশিত প্রার্থীতালিকায় ‘গরমিল’ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। 


প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই একাধিক জায়গায় অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। সংশোধিত তালিকার বদলে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রের। কিছুক্ষণ পরেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হবে জানান হয়েছে।


২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। শুক্রবার তার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল। শতাধিক পুরসভার ভোটে কার্যকর হল তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি। পুরভোটে টিকিট পেলেন না কোনও তৃণমূল বিধায়ক! পাশাপাশি একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে টিকিট দেওয়ার নীতি থেকেও সরে এসেছে তৃণমূল। নীতিগতভাবে কোনও বিধায়ককে পুরভোটে টিকিট না দেওয়ায় বাদ পড়েছেন, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, কাটোয়া পুরসভার ২৫ বছরের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কালনার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ। অথচ তালিকায় আছে মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক দুলাল দাসের নাম।


২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে তৃণমূল নেতৃত্ব ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির কথা ঘোষণা করলেও কলকাতা পুরসভার ভোটে তার ছাপ পড়েনি।  পুরভোটে জিতে দ্বিতীয়বার মেয়র হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও জিতেছেন। তৃণমূল নেতা তারক সিংহ, তাঁর ছেলে ও মেয়ে - ৩ জনই এখন কাউন্সিলর। এছাড়াও মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার ছেলে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তবে জেলার পুরভোটে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হবে না, এই নীতিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। ব্যতিক্রম তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর ছোট বউমা মেঘনা মিত্র কামারহাটির পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থী।


যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্যাখ্যা,পুরভোটে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন না। মদন মিত্র বিধায়ক। সেক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের একজনকে পুরভোটে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এদিকে, তৃণমূলের তালিকা ঘোষণার পরই এদিন বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী নিয়ে শুরু হয় ক্ষোভ-বিক্ষোভ। এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূল সূত্রের দাবি, সংশোধিত তালিকার বদলে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়। তাতেই সমস্যা। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে জেলা সভাপতিদের কাছে। প্রার্থী তালিকা ঘিরে অসন্তোষ এড়াতে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যাঁকে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে, তাঁকেই সমর্থন করতে হবে। ক্লাসে পাস সবাই করলেও সবাই ফার্স্ট বয় হতে পারে না।"