সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: আর কদিন বাদেই মাধ্যমিক (Madhyamik Examinees)। কতটা প্রস্তুত পরীক্ষার্থীরা? যাচাই করতে কামারহাটি বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ( MLA Of Kamarhati Madan Mitra) ও পুরসভার উদ্যোগে শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মক টেস্ট (Mock test) l
মক টেস্ট...
দীর্ঘ দু'বছর করোনার জন্য এই মক টেস্ট বন্ধ ছিল। এই বছর থেকে আবার চালু করা হল l এলাকার প্রায় সব কটি স্কুলের মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে l কামারহাটি পুরসভার পুর পরিষদ সদস্য মেঘনা মিত্র বলেন, 'মাধ্যমিক যে ভাবে হয়, সেই ভাবেই পরীক্ষাটি হচ্ছে l' অঙ্ক ,ইংরেজি ,ভৌতবিজ্ঞান ও ভূগোল, চারটি বিষয়ের উপর প্রায় এক হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে l জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসার আগে এই মক টেস্ট খুশি পড়ুয়ারাও l এই পরীক্ষার ফলাফল ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাবে। শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ফলাফল। এক শিক্ষিকার ধারণা, এর ফলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে। একনজরে আসন্ন বছর মাধ্যমিকের পরীক্ষাসূচি।
মাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট...
- আগামী বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা
- দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ভূগোল পরীক্ষা হবে
- ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে ইতিহাস পরীক্ষা
- জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি
- ২ মার্চ হবে অঙ্ক পরীক্ষা
- ৩ মার্চ ভৌতবিজ্ঞানের পরীক্ষা হবে
- ৪ মার্চ হবে ঐচ্ছিক পরীক্ষা।
গত বারের ফলাফল....
গত বার পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৯ দিনের মাথায় মাধ্য়মিকের ফলপ্রকাশ হয়। গত বার প্রায় ১১ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছিল। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল ১১ শতাংশ বেশি। ছাত্রীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার ৯৬১ জন বেশি। গত কয়েক বছরের ধারা দেখলে উঠে আসে, প্রায় প্রতি বছরই অসাধারণ ফলাফল করছে পূর্ব মেদিনীপুর। গত বারও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিল তারা। পাশের হারে প্রথম ছিল পূর্ব মেদিনীপুর। জেলায় পাশের হার ছিল ৯৭.৬৩ শতাংশ। বারবার জেলার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জেলার শিক্ষামহল। এর পরে ছিল- কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা। এই তিন জেলায় পাশের হার ৯৪ শতাংশর বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় পাশের হার ৯১.৯৮ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাশের হার ৮৯.০৮ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে পাশের হার ৯২.৫৯ শতাংশ। গত বার পরীক্ষায় পাশ করে ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন। পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৮৮.৫৯ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৫ শতাংশ। ‘স্ক্রুটিনির জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ১৫ দিন।
আরও পড়ুন:বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের পাশে চিকিৎসকদের সংগঠনও, বুধবার ২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক