ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অন্তঃসত্ত্বা ও ১২ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে, এমন মায়েদের ভ্যাকসিন দিতে বিশেষ জোর দেওয়া হল। নিউ ব্যারাকপুর পুরসভায় তৈরি করা হয়েছে আলাদা ক্যাম্প। এই উদ্যোগে খুশি গ্রাহকরা।
২৩ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে ১২ বছর পর্যন্ত বাচ্চা রয়েছে, সেই মায়েদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সামনেই দুর্গাপুজো। বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে ওই সময়ই নাকি হানা দিতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। অক্টোবরেই দেশে শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
এই পরিস্থিতিতে, অন্তঃসত্ত্বা এবং যে মায়েদের ১২ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে, তাঁদের ভ্যাকসিনেশনে জোর দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যায়, নিউ ব্যারাকপুর পুরসভায় ভ্যাকসিনের জন্য লম্বা লাইন। সেখানে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়, অন্তঃসত্ত্বা ও ১২ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে, এমন মায়েদের। তাঁদের জন্য আলাদা ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক, প্রবীর সাহা বলেন, "আলাদা ক্যাম্প করা হয়েছে। নির্দেশ আসার পরই করি। পুরসভার উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ।" ভ্যাকসিন গ্রাহক তানিয়া বসু বলেন, "আমি প্রেগন্যান্ট। আমার সঙ্গে পুরসভা যোগাযোগ করে। ওরা আমার ভ্যাকসিন করে দিয়েছে। লাইনেও দাঁড়াতে হয়নি।"
শুধু মায়েদেরই নয়, চিকিত্সকদের মতে, শিশুর সংস্পর্শে যাঁরা আসেন, প্রত্যেকেরই সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেশন প্রয়োজন। জানিয়েছেন চিকিৎসকেরাও। চিকিত্সক অপূর্ব ঘোষ বলেন, "১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে। বাচ্চাদের তো সর্বত্র টিকা পরীক্ষিত হয়নি। আমি মনে করি, বাচ্চার মা নয়, বাবা, সবার টিকাকরণ জরুরি। বাচ্চার আশপাশে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের সবার ভ্যাকসিন হওয়া জরুরি। বিদেশেও সেইভাবেই হচ্ছে।"
চিকিত্সক অজয় সরকারের কথায়, "যেটা আমরা ভয় পাচ্ছি, থার্ড ওয়েভে বাচ্চারা অ্যাফেকটেড হবে। কারণ বাচ্চাদের ভ্যাকসিন হয়নি। সেকেন্ড ওয়েভে আমরা বেশি পেডিয়াট্রিক পেশেন্ট পাইনি। একটা সেরো সার্ভে করে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ বাচ্চারই অ্যান্টিবডি আছে। সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছেন, এটা খুবই ভাল কথা।। সেকেন্ড ওয়েভে যা অবস্থা ছিল, তা যেন না হয়।"