সমীরণ পাল, জগদ্দল: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের মধ্যেই নতুন একটি ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন অর্জুন সিংহ। রবিবার জগদ্দলে আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। আহতকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার থেকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এই পরিস্থিতিতে নতুন একটি ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করলেন ব্য়ারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। রবিবার জগদ্দলের পাল ঘাট রোড এলাকায় আক্রান্ত হন রোহিত সাউ ওরফে বান্টি।
তাঁকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আহত রোহিতকে প্রথমে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে।
মঙ্গলবার আক্রান্তের বাড়িতে যান সাংসদ অর্জুন সিংহ। আহত ব্যক্তিকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সওয়াল করেছেন সিবিআই তদন্তের পক্ষে।
ব্য়ারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, সারা বাংলা, বিশেষ করে ব্য়ারাকপুরকে গুণ্ডাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জেহাদি গুণ্ডাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েচে। বাম জমানায় রাস্তা চেনা যেত অমুক গুন্ডার গলি। সেই দিন ফিরে এসেছে। এখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। বাড়ি থেকে ক্রিমিনালরা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাড়ির লোককে ধমকাচ্ছে। যেখানে সিবিআই, সিটের তদন্ত হচ্ছে, সেখানে পুলিশের ভূমিকাটা বুঝতে পারছেন। এই কেস সিবিআইয়ের দিকে যাবেই। আমরা বলেছি এফআইআর করতে। একেবারে অ্যাটেম্পট টু মার্ডার।
অর্জুনের সিবিআই তদন্তের দাবিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। জগদ্দল তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, বান্টি এর আগেও মার্ডার কেসেও জড়িত ছিল। নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় গণ্ডগোল। যারা মার খাচ্ছে তারা বিজেপি, যারা মারছে তারা তৃণমূল। এটাই বলতে চান অর্জুন সিংহ। মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। এরপর কেউ খেতে না পেলেও বলবে সিবিআই তদন্ত চাই। তাহলে আমিও অর্জুনের বিরুদ্ধে ভাটপাড়া পুরসভা ও কো-অপারেটিভে যে কেসগুলো রয়েছে তার সিবিআই চাইব।
জগদ্দল থানার পুলিশ সূত্রে দাবি, রবিবারের গণ্ডগোলে রোহিত ওরফে বান্টিই প্রথমে হামলা চালায়। পাল্টা মারধর করা হয় রোহিতকে। পলিশ সূত্রে খবর, ১৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন।