রঞ্জিত সাউ, নিউটাউনঃ শাসকদলের জেরবার পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন ফের তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। উল্লেখ্য, আদালতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন মহাসচিব বলেন, 'সময় মতো সব প্রমাণ হবে, কেউ ছাড় পাবে না।' কার উদ্দেশে এই মন্তব্য করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আর এই ইস্যুতেই এদিন মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রথম দিকে সিবিআই দফতরে তলব করা হচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই পার্থ-সহ রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। আর তারপরেই বেরিয়ে আসে অর্পিতা-র যোগ সূত্র। বেরিয়ে পড়ে কোটি কোটি টাকা, সোনা, কোম্পানির হদিস। গ্রেফতার হন পার্থ। প্রথম কয়েকদিন মুখ না খুললেও, পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি আচমকাই বলে ওঠেন, 'আমার টাকার নয়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।'
যদিও একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কারা ষড়যন্ত্র করেছে ? বলুন, সুজন-দিলীপরা। অবশেষে এবার আদালতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন পার্থ। তিনি বলেন 'সময় মতো সব প্রমাণ হবে, কেউ ছাড় পাবে না।' দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, 'কেউ ছাড় পাবে না, বলছেন তো অনেকদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উনি ছাড় পাবেন না এটাতো আমরা নিশ্চিত। উনি একা এই পাপের সঙ্গে যুক্ত নন আমরা জানি। আর যারা যুক্ত তাঁদের নাম বলুন।'
আরও পড়ুন,২০১১ সালের পর আচমকাই অনুব্রতকে রাইসমিল বিক্রি হারাধনের, সিবিআই হানায় কী কী পর্দা ফাঁস ?
তিনি এদিন সম্পত্তি বৃদ্ধির ইস্যু নিয়ে বলেন,' এত লোকের নাম আসছে আমার নাম দিল না। যাইহোক কেউ দিয়েছে। গায়ে কাদা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা প্রেস্টিজের ব্যাপার। কে কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কেউ কি অভিযোগ করেছে? কোর্ট যা মনে করবে তাই করবে। এতদিন সি আইডি দিয়ে তদন্ত করাতে পারতেন। করাননি কেন জানেন যে এইগুলো মিথ্যা।'
রাজ্যে ইন্ড্রাষ্ট্রি প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এসব গল্প ১২ বছর ধরে শোনাচ্ছেন। এখন আর এসব বলে লাভ নেই। এখন পার্টি সামলান, সরকার সামলান তাতেই হবে।' প্রসঙ্গত, মূলত তৃতীয়বার ক্ষমতার আসার পর রাজ্যে শিল্প গড়ার লক্ষ্য নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তার চলতি বছরের বাণিজ্য সম্মলনে অনেক সংস্থাই বাংলায় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এগারো সালে ক্ষমতার আসার পর এই প্রথম বড়সড় লগ্নিরমুখ দেখতে চলেছে রাজ্য। যদিও বিরোধীরা' এসব গল্প' বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি পাইলট কার-র ইস্যুতে তিনি বলেন, 'এখন এসব কেন বলছে। ১০-২০ টি পাইলট গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় পাবলিকের মার খাওয়ার ভয়ে। এখন জনসংযোগ করতে গেলে পাবলিক ধরবে। '