সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজির জের। কেন্দ্রের তরফে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। আগে ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পেতেন অর্জুন সিং। এখন তাঁকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিজেপি সাংসদের।
সাংসদ জানিয়েছেন, জগদ্দল এলাকায় বারবার বোমাবাজির ঘটনায় কেন্দ্রের কাছে নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। গতকাল সাংসদের বাড়ির পিছনে বোমাবাজি হয়। এদিন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়ির সামনে বোমাবাজির তদন্তভার নিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা NIA। মঙ্গলবার সকালে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি, মজদুর ভবন লাগোয়া পাঁচিলে বোমা বিস্ফোরণ হয়। মজদুর ভবনের সামনেই মোতায়েন থাকে অর্জুন সিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বিস্ফোরণস্থল থেকে পুলিশ ক্যাম্পেরও দূরত্ব মেরেকেটে ২০০ মিটার। আর সেখানেই কি না বিস্ফোরণ!অর্জুন সিংহের বাড়ির এই অংশে থাকেন ভাড়াটেরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ, বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, নিজেই বোমা মারিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন বিজেপি সাংসদ! পাল্টা তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলছেন অর্জুন সিং।
এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, "এরপর কালীপুজোয় পাড়ায় পাড়ায় মারামারি হলেও NIA আসবে। NIA কে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছিল NIA। এরপর পাড়ায় পাড়ায় NIA যাবে। দেশটাকে NIA, CBI রাজে পরিণত করেছে মোদি সরকার।"
এদিকে, অর্জুন সিংয়ের বাড়ির কাছে বোমাবাজির রাতেই ফের জগদ্দলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় ২ জন গুরুতর জখম হন। তাঁদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় দুষ্কৃতী মহম্মদ সোনুর দলবল রাতে এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়। জগদ্দল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।