সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে কাজে বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনে ঠিকা শ্রমিকেরা। কাজে বহাল রাখার দাবিতে মঙ্গলবার বনগাঁ হাসপাতাল সুপারের ঘরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করলেন ঠিকা কর্মীরা। 


মঙ্গলবার থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়৷ বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে একটি সংস্থার মাধ্যমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের প্রায় ৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সোমবার তাঁদের হঠাৎ জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজে না আসার কথা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের দুমাস হল নিয়োগ করা হয়েছে। করোনাকালে অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। বেতন পাননি অনেকে। 


এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ তাঁদের কাজে পুনর্বহাল না করবে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷ বনগাঁ হাসপাতাল সুপার বলেন, বনগাঁ হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল হওয়ার পর একটি সংস্থার মাধ্যমে কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এখন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল নন কোভিড হয়েছে। সেই কারণে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মীরা আমার কাছে এসেছিল। আন্দোলনের বিষয়টি উচ্চপদস্ত কর্তৃপক্ষকে জানাব।


এদিকে, চাকরিতে নিয়োগের দাবি তুললেন বারাসতের ডিইএলইডি (D.El.Ed) প্রশিক্ষিতরা। দাবি তুলে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। হাতে হ্যারিকেন আর সার্টিফিকেট নিয়ে বিক্ষোভ সামিল হন ডিইএলইডি প্রশিক্ষিতরা। একই সঙ্গে দিদিকে দিল্লির রাজনৈতিক ময়দানে দেখতে চাওয়ার পক্ষেও আওয়াজ তুললেন তাঁরা। এদিন তাঁদের বিক্ষোভে তৃণমূলের 'খেলা হবে' স্লোগানকেই হাতিয়ার করেন।


বছর ঘুরতে চললেও বাকি প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। এছাড়াও তাঁদের অভিযোগ, এই প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিইএলইডি (D.EL.Ed) প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। নিয়োগের পরবর্তীতে বি. এড প্রার্থীদের ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হবে। এরপরেও ওই পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডিইএলইডি (D.EL.Ed) প্রার্থীদের বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।