সমীরণ পাল, বারাসত (উত্তর ২৪ পরগনা): পুজোর আগেই চাকরিতে নিয়োগের দাবি তুললেন বারাসতের ডিইএলইডি (D.El.Ed) প্রশিক্ষিতরা। দাবি তুলে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। হাতে হ্যারিকেন আর সার্টিফিকেট নিয়ে বিক্ষোভ সামিল হন ডিইএলইডি প্রশিক্ষিতরা। একই সঙ্গে দিদিকে দিল্লির রাজনৈতিক ময়দানে দেখতে চাওয়ার পক্ষেও আওয়াজ তুললেন তাঁরা। এদিন তাঁদের বিক্ষোভে তৃণমূলের 'খেলা হবে' স্লোগানকেই হাতিয়ার করেন।


সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডিইএলইডি (D.El.Ed) প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে  ষোল হাজার পাঁচশো প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকার নিয়োগের কথা নবান্ন থেকে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে  ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি আন্দোলনকারীদের। মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছিলেন যে, ২০১৪ সালে প্রাইমারী টেট পাস করেছেন এমন কুড়ি হাজার প্রার্থী আছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।


তাঁর ঘোষণার পরেই বারো হাজার ছ'শো বেয়াল্লিশ জনের নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রায় বছর ঘুরতে চললেও বাকি প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। এছাড়াও তাঁদের অভিযোগ, এই প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিইএলইডি (D.EL.Ed) প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।


প্রাথমিকের ক্ষেত্রে অর্ধ প্রশিক্ষিত বি.এড প্রার্থীদেরকে নিয়োগ করে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডিইএলইডি (D.EL.Ed) প্রার্থীদেরকে বঞ্চিত করে প্রাথমিকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষক পদ প্রার্থীদের। প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য একমাত্র যে প্রশিক্ষণটি নিতে হয়, সেটি হল ডিইএলইডি, দাবি আন্দোলনকারীদের। আর নিয়োগের পরবর্তীতে বি. এড প্রার্থীদের ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হবে। এরপরেও ওই পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডিইএলইডি (D.EL.Ed) প্রার্থীদের বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে ডিইএলইডি পাস প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীরা উত্তর ২৪ পরগনার ডিপিএসসি অফিসের সামনে এক হাতে সার্টিফিকেট আর অন্য হাতে হ্যারিকেন নিয়ে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হন।