সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: একটু বৃষ্টি হল কি না হল বারাসাতের বিস্তীর্ণ এলাকা। খালগুলোর নাব্যতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে বারাসাতের পুরো এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ একটু বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে, এমনটাই অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ অব্যবস্থার কারণেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।


পুরসভার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, বাণীকন্ঠ খাল সংস্কারের কাজ হলেও খালেদার এর বাড়িগুলো থেকে ফেলা প্লাস্টিকে খালের গতি নষ্ট হচ্ছে। খালের মাটির নিচে প্লাস্টিক জমে যাচ্ছে। এর ফলে খালের ধারে ধস নামতে এবং বাড়িগুলো বিপদজনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। পুরসভার তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, যেহেতু প্রচুর বাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে সেই অনুযায়ী নিকাশি ব্যবস্থার মান উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। 


জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটা খাল সম্পর্কে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে কোন খালের কি সমস্যা দেখে সেই সমস্যার সমাধান করা হবে। 


এদিকে, জল-বিধ্বস্ত বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গেলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু, তিনি ফিরতেই এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সমস্যার কথা মন্ত্রীর কাছে বলতেই পারেননি তাঁরা। বিক্ষোভ নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি। সোমবার বাঁকুড়ার বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি এলাকা ছাড়তেই ক্ষোভ উগড়ে দেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ডিভিসির ছাড়া জলে গত কয়েকদিন ধরে জলমগ্ন ছিল বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্যোগে ভেঙে পড়ে বহু মাটির বাড়ি। নষ্ট হয় ফসলের ক্ষেত। মানকানালীতে ভেঙে যায় একটি সেতু। এখনও বেশ কিছু এলাকার জল নামেনি। 


জলবন্দি ঘাটালের পাশে থাকার বার্তা দিলেন স্থানীয় সাংসদ দেব। জলে ডুবে মৃত শিশুর পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন সাংসদ। স্পিডবোটে পরিদর্শন করেন জলবন্দি এলাকা। বৃহস্পতিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়, ঘাটালের গম্ভীরনগরের ৬ বছরের এক শিশুর। সেই থেকে গোটা বাড়িজুড়ে শুধুই হাহাকার। শোকে পাথর হয়ে যাওয়া পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন স্থানীয় সাংসদ দেব পরিবারের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দেন তিনি। বললেন, "এই পরিবার যা হারিয়েছে তার কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। বাচ্চারা জলে ডুবে গেছে। এদের কাছে কীসের পুজো।"