দত্তপুকুর : এগরার ঘটনার পরও ফেরেনি হুঁশ ! চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল দত্তপুকুর। ফের বেআইনি বাজি কাড়ল প্রাণ। দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৮  জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আর এনিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পাশাপাশি এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।


ঘটনার বিবরণ-


পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। সাড়ে ৩ মাসের মধ্যেই ফের বেআইনি বাজি কারখানার মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল। রবিবার সকালে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল। ঘটনাস্থল দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকা। জগন্নাথপুর-নারায়ণপুর রাস্তার পাশে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি একতলা-দোতলা পাকা বাড়ি। তারই মধ্যে একটি একতলা বাড়িতে চলত বেআইনি বাজির কারখানা। হঠাৎ তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। উড়ে যায় একতলা বাড়িটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তার ২ পাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে কেঁপে ওঠে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের বারাসত শহরও। বিস্ফোরণের পরই উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে বাজি কারখানা চালাতেন স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলকর্মী সামসুল আলি এবং তৃণমূল নেতা আজিবর রহমান। 


কৌস্তভের নিশানা-
 
এই ঘটনা নিয়ে এবার সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ। তিনি বললেন, "পশ্চিমবঙ্গে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা দেখলাম, এত বোমা-গুলি। সমস্ত কারখানাগুলির আড়ালেই তো এগুলি হয়। আমরা তো বারংবার একথা বলছি। গোটা রাজ্যটাকে মুখ্যমন্ত্রী বারুদের স্তূপের উপর বসিয়ে রেখেছেন। পেটুয়া সংগঠনকে দিয়ে ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে, এর সঙ্গে বাজির কোনও সম্পর্ক নেই। নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য । কারণ, এই মুখ্যমন্ত্রী ২দিন আগে বলেছেন, এই রাজ্যে আমরা সমস্ত বেআইনি বাজি উদ্ধারের ড্রাইভ শুরু করব। এখন সেখান থেকে মুখ লুকাতে গিয়ে বলছেন, এর সঙ্গে বাজির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা মানছি এর সঙ্গে বাজির কোনও সম্পর্ক নেই। এর সঙ্গে আরডিএক্সের সম্পর্ক আছে। এখানে আরডিএক্স তৈরি হতো, না বোমা তৈরি হতো, সরকারকে এসে বলতে হবে। সরকার এর তদন্ত করতে পারবে না। এনআইএ তদন্তের দাবি করছি। ছয় মাসের একটি বাচ্চার আজ মৃত্যু হয়েছে। নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর বোঝা উচিত তিনি শুধু তাঁর ভাইপোর মুখ্যমন্ত্রী নন, ছয় মাসের যে বাচ্চাটি মারা গেছে তারও মুখ্যমন্ত্রী। "