সমীরণ পাল, বনগাঁ : বনগাঁ পুরসভার (Bongaon Municipality) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে উপ নির্বাচনের (By Election) প্রার্থী ঘোষণার আগে তৃণমূল কর্মীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক। প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে তৃণমূলের প্রার্থী করতে হবে, পোস্টে দাবি। দল চাইলে লড়তে প্রস্তুত বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শঙ্কর আঢ্যর। এদিকে ফেসবুক পোস্টই বলে দিচ্ছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে শঙ্কর আঢ্যর দলীয় অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।


বনগাঁয় দ্বন্দ্ব ?


১৪ নম্বর ওয়ার্ডে শঙ্কর আঢ্যকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে চায়। কোনও চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ মানবে না। ২১ অগাস্ট বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে উপ নির্বাচন। এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি তৃণমূল। তার আগেই নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে এক ব্যক্তির পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। শঙ্কর আঢ্যর সমর্থনে ফেসবুকে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। এদিকে, দল চাইলে লড়তে প্রস্তুত বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শঙ্কর আঢ্য। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক রাজ্য নেতৃত্ব বলে মন্তব্যও করেন তিনি। 


এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কটাক্ষ, ফেসবুক পোস্টই বলে দিচ্ছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, সম্পূর্ণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জেলা সভাপতি এক গোষ্ঠী, তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা আছেন। আর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আর এক গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠী লড়াইয়ের ফল এটা। 


যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বনগাঁ টাউন কংগ্রেসের সভাপতি সুনীল রায়। 


এদিকে যাঁকে ঘিরে এই পোস্ট, তাঁর বর্তমান দলীয় অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বনগাঁর তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, যিনি বলছেন তিনি হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিতাড়িত। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি নির্দল প্রার্থী দিয়েছিলেন। যার জন্য দল তাঁকে সাসপেন্ড করেছে।


প্রসঙ্গত, পুরভোটের পরপরই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ দাসের মৃত্যু হয়। উপনির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছে আগামী মাসে। তার আগেই তৃণমূলের অন্দরে প্রকট মতবিরোধ।