ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও আব্দুল ওয়াহাব : বেআইনিভাবে নদীর বাঁধ কেটে জল এনে ব্যবহার হচ্ছে ইটভাটায়। বাঁধের মাটি আলগা হয়ে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভুগছেন হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দারা। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজব সাফাই স্থানীয় দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।


এখনও দগদগে আমফানের ধ্বংসলীলার ক্ষত। কাঁচা বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে দিয়েছিল নদীর জল। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে পাততে হয়েছিল সংসার। ‘অশনি’ সঙ্কেতে ফের তাই প্রমাদ গুণছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। কারণ, বেআইনি ব্যবসার জন্য ইটভাটার মালিকরা নদীবাঁধ কেটে ফেলছেন বলে অভিযোগ। 


উত্তাল নদীর জলোচ্ছ্বাস আটকাতে ভরসা নদী-বাঁধ। আশঙ্কা বাড়িয়েছে নদীপাড়ে তৈরি হওয়া বেআইনি ইটভাটা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইট তৈরির জন্য বেআইনিভাবে নদীবাঁধ কেটে একটি অংশে জল সঞ্চয় করে ভাটার মালিকরা। নদীর জল থেকে পলি জমা করে সেখান থেকেই তৈরি করা হয় ইট। এর ফলে বাঁধের মাটি আলগা হয়ে ঘনিয়ে আসে চরম বিপদ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সব কিছু জেনেশুনেও চোখ বুজে রয়েছে প্রশাসন।


হিঙ্গলগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন, নদী বাঁধ কেটে এরা এখানে এভাবেই জল ঢোকায়। সেই জন্য দুর্বল হয়ে যায়। প্রশাসন সবকিছু জেনেও কিছু করতে পারে না।


স্থানীয় সূত্রে খবর, হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় ১০০টির ওপর এমন বেআইনি ইটভাটা তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা এবিষয়ে সরব হলেও আজব যুক্তি খাড়া করছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। হিঙ্গলগঞ্জের পঞ্চায়েতের এক সদস্য বলেন, এখানে অনেকগুলো ইটভাটা আছে। এর সঙ্গে অনেকের জীবন জীবিকা জড়িয়ে। সব জেনেও কিছু করতে পারি না।


অনেকের জীবন জীবিকা জড়িত বলে কি বেআইনি ব্যবসা দেখেও হাত গুটিয়ে থাকবে প্রশাসন ? বাঁধ ভাঙলে কী হবে? প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে ঘটছে এমন কাণ্ড?  সরকারি বাঁধ কেটে কীভাবে চলছে এমন বেআইনি কাজ ?