সমীরণ পাল, নৈহাটি : তৃণমূল পরিচালিত নৈহাটি পুরসভায় (Naihati Municipality) লক্ষাধিক টাকা দুর্নীতির অভিযোগ। গ্রেফতার (Arrest) পুরসভার তিন কর্মী। এনিয়ে শহর জুড়ে পোস্টার দিয়েছে সিপিএম। আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


পুরসভাকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর করলে কেন বিধায়ক, চেয়ারম্যান জবাব দাও। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি পুর এলাকায় চোখ মেললেই দেখা যাচ্ছে এই ধরনের পোস্টার। তৃণমূল পরিচালিত নৈহাটি পুরসভার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এভাবেই সরব হল সিপিএম। কোনও পোস্টারে শহরের ‘গোধূলি’ অনুষ্ঠান ভবন বুকিংয়ের টাকা চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে। কোথাও গঙ্গার ধারে স্বপ্নবীথি পার্ক ও গোয়ালাপাড়া ঘাটের জাল টিকিট ছাপানোর অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়েছে। 


সম্প্রতি নকল বিল বানিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নৈহাটি পুরসভার ৩ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই নৈহাটি ছেয়ে গিয়েছে এই ধরনের পোস্টারে। বিরোধীদের অভিযোগ, নৈহাটি পুরসভা পরিচালিত দুটি অনুষ্ঠান ভবন ও দুটি বিনোদন পার্ক ভাড়া দেওয়ার নামে যথেচ্ছ দুর্নীতি হয়েছে। নৈহাটির সিপিএম নেতা মলয় ভট্টাচার্য বলেন, গোধূলিতে দেখা যাচ্ছে যারা ভাড়া নিয়েছিল তারা যখন কশন মানি ফেরত দিতে যাচ্ছে, তাদের নামে কোনও এন্ট্রিই নেই। অর্থাৎ পুরো টাকাটাই পুরসভার ফান্ডে না ঢুকে কারোর কারোর পকেটে যাচ্ছে। হিসেব করে দেখা যাচ্ছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকার স্ক্যাম। কিন্তু হিসেব দেখাচ্ছে ১ লাখ টাকার মতো।


দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছে বিজেপি। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনেক দিন ধরে পুরসভাতে দুর্নীতি চলছে। প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নামছি।


নৈহাটি পুরসভায় ‘দুর্নীতি’ ইস্যুতে বিরোধীরা সরব হওয়ায় পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুর্নীতি যারা করেছিল আমরা তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলাম। তারা নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছিল। কাঁচা রশিদ দিয়ে দুর্নীতি। ভূতের মুখে রামনাম শুনতে চাই না। সিপিএম কিচ্ছু করেনি। নৈহাটি পুরসভা দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হলে মানুষ আজ এই উন্নয়নের মুখ দেখতেন না।


সব মিলিয়ে তরজা তুঙ্গে।