সমীরণ পাল, আমডাঙা : পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে অশান্তির শেষ নেই ! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের তরফে। এবার তৃণমূলের অন্দরেই উঠল অভিযোগ ! দলের হুইপ না মেনে, টাকা দিয়ে ভোট কিনে প্রধান হওয়ার অভিযোগ উঠল আমডাঙা (Amdanga) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ রূপচাঁদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। দলীয় এই নেতার বিরুদ্ধে আবার যে-সে নন, অভিযোগ তুলেছেন খোদ তৃণমূলেরই বিধায়ক! মহম্মদ রূপচাঁদ মণ্ডল ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে ভোট কিনেছেন বলে অভিযোগ আমডাঙার তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA)। যদিও টাকা দিয়ে নয়, ভোটাভুটিতে জিতেছি বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।
আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৬টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। একটিতে সিপিএম এবং দুটিতে আইএসএফ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আজ বোর্ড গঠন ছিল। আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল রহমান নিজে যান আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে। বোর্ড গঠনের আগে দলের হুইপ তিনি সঙ্গে নিয়ে যান। দলের তরফে যাকে প্রধান মনোনীত করা হয়েছে তাঁকেই মানতে হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তার পরপরই ভোটাভুটি হয়। কিন্তু দেখা যায়, ১১-৫ ভোটে মহম্মদ রূপচাঁদ মণ্ডল আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। সেই খবর শোনার পরপরই আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক সরাসরি অভিযোগ করেছেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ১০ লক্ষ টাকার বিনিয়মে। তিনি বলেন, 'রূপচাঁদ মণ্ডলের ভাবমূর্তি ঠিক নয়। তিনি খারাপ লোক হিসাবে পরিচিত। তাঁকে প্রধান নির্বাচন করাই ক্ষতি হবে।'
যদিও অভিযুক্ত রূপচাঁদ মণ্ডল বলেন, 'এমএলএ সাহেবের নেতৃত্বে আমরা নিজেরা আলোচনা করে বোর্ড গঠন করেছি। হুইপ মেনেই কাজ করেছি। নাম ছিল না। আমরা ভেতরে মেম্বাররা নিয়োগ করেছি। মানুষের যদি আমার উপর আশা না আসে, তাহলে ভোট কিনলেও দেবে না। এমএলএ সাহেব ভাল। উনি সেটা বলতে পারেন না। আমি ভোট কিনিনি। এমএলএ সাহেব এটা বলতেই পারেন না।'
অপর এক তৃণমূল বিধায়ক তথা দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায় (TMC MLA Tapas Roy) বলেন, 'বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে খবরটা যাচাই করতে হবে।'
কিন্তু, খোদ তৃণমূল বিধায়কের নিজের এলাকায় এক প্রধানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে।