সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর (উত্তর ২৪ পরগণা): প্রত্যন্ত গ্রামের দুঃস্থ পরিবারের (Needy Families from villages) যুবক-যুবতীদের নিয়ে গণবিবাহের (mass marriage) আসর। উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Paraganas) ব্যারাকপুরের (Barrackpore) বটতলা স্পোর্টিং ক্লাবের  (Battala Sporting Club) উদ্যোগে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ১০ জন পাত্রপাত্রী।


উত্তর ২৪ পরগণায় গণবিবাহ


পালকিতে এল কনে (Bride)। আর বর (Groom) এল ঘোড়ায় টানা গাড়িতে চড়ে। তারপর লাজুক চোখে শুভদৃষ্টি। সারা জীবন এক সঙ্গে চলার অঙ্গীকার নিয়ে চার হাত এক হল দু’জনের। ৫ জন পাত্র এবং ৫ জন পাত্রী এভাবেই বাঁধা পড়লেন সাত পাকের বন্ধনে। 


বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের, দুঃস্থ পরিবারের একাধিক বিবাহযোগ্য সদস্যদের নিয়ে, বৃহস্পতিবার গণবিবাহের আয়োজন করেছিল উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরের মনিরামপুর (Manirampur) এলাকার বটতলা স্পোর্টিং ক্লাব।


নতুন জীবন শুরুর ক্ষণে নববধূ সুজাতা দাস বলছেন, 'খুবই ভাল লাগছে। আমার তরফ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ।'


পাত্র অসীম মণ্ডল বলছেন, 'আমাদের বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে। এত কিছু আয়োজন (arrangement) করে বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। আজ যে এত কিছু করে প্রোগ্রাম (programme) হচ্ছে, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।'


আরও পড়ুন: Kolkata: অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগিণীকে 'চড়', চুলের মুঠি ধরার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে


স্থানীয় ক্লাবের (local club) উদ্যোগে, অনুষ্ঠান ভবন ভাড়া করে, জাঁকজমক করে হল গণবিবাহ। ব্যারাকপুরের বটতলা স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক তপোব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এটা সামাজিক কাজ। বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাঁদের প্রয়োজন এমন মানুষদের বেছে নিই। ওদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। জল সইতে যাওয়া থেকে বধূবরণ সব বাঙালি নিয়ম মেনে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের তত্ত্বের ব্যবস্থাও আমরা করেছি।'


বিয়ে হবে, আর বিয়ের ভোজ থাকবে না, তা কি হয়? গণবিবাহে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিল ক্লাব।