সমীরণ পাল, বিরাটি : বিরাটিতে (Birati) নির্মীয়মাণ বহুতলে (Under-Construction Building) দুষ্কৃতী তাণ্ডব। নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি, অস্থায়ী ঘর, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর। তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন প্রোমোটার। নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলার পাশাপাশি নগদ ৯৮ হজার টাকা লুঠেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ঘটনাটি কী ?
বিরাটির এমবি রোডের ধারে নির্মীয়মাণ এই বহুতল। সাত বছর আগে এই বহুতল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, এখানকার তৃণমূল নেতা স্বপন হালদার অর্থাৎ বর্তমানে উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শেলি হালদারের স্বামীর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তোলা না পাওয়ায় এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গন্ডগোল চলছিল। এর পরেও বছর দু'য়েক আগে এই বহুতলের কাজ শুরু হয়।
প্রোমোটারের অভিযোগ, গতকাল রাতে ছয়-সাতজন দুষ্কৃতী এসে নির্মীণমাণ বহুতলের অফিসঘর ভাঙচুর করে। বেশ কয়েকটি সিসি টিভি ছিল তা ভাঙচুর করে এবং সিসি টিভির হার্ডডিস্ক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছু নগদ টাকা ছিল। তাও লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মর্মে ওই প্রোমোটার নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রোমোটার রাহুল বাড়ুই তাঁর অভিযোগে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, বিরাটি সিদ্ধেশ্বরী বাজার এমবি রোডের ধারে এই নির্মীয়মাণ বহুতল। সেখানে গতকাল সন্ধেয় ছয় জন দুষ্কৃতী আসে। তারা তৃণমূল নেতা তথা উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন হালদারের লোকজন এসে নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি দেয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি শ্রমিকদের টাকা মেটানোর জন্য সেই অফিসে ৯৮ হাজার টাকা নগদ মজুত ছিল, তাও লুঠ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রোমোটারের সঙ্গে স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতার গন্ডগোল চলছে। অভিয়ুক্ত তৃণমূল নেতা ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু, খোদ দলীয় কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ, পাশাপাশি নির্মীয়মাণ বহুতলে ভাঙচুরের ঘটনায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।