সমীরণ পাল ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা: রাজ্য সরকারের বিরোধিতার কারণেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ( CAA) চালু করতে দেরি হচ্ছে। আজ বনগাঁয় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে এ’কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাল্টা, CAA নিয়ে বিজেপিকে (BJP) কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)।
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, রাজ্য সরকারের বিরোধিতার জন্যই এত দেরি হচ্ছে। রাজ্য সরকার যদি সঙ্গে সঙ্গে মেনে নেয়, তাহলে কালকে চাইলে কালকেই CAA চালু করে দিতে পারি।
পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, উনি আগে দলের সব অংশকে বোঝান, তিনি দল বোঝেন, তারপর এনআরসি-সিএএ নিয়ে আলোচনা হবে।
পুরভোটের মুখে ফের তরজার কেন্দ্রে উঠল CAA।তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।বনগাঁয় একটা বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। বনগাঁ পুর এলাকায় মতুয়া ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। সম্প্রতি, দলের রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়াদের ব্রাত্য রাখা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিক্ষুব্ধদের বার্তা দিতে ২ নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার বনগাঁর পুরভোটের প্রচারে গিয়ে ফের CAA চালু করার কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বললেন, CAA আমরা চালু করব, তার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে, সর্বোচ্চস্তরে চিন্তাভাবনা চলছে। আজ না হোক কাল CAA চালু হবেই। রাজ্য সরকারের বিরোধিতার জন্যই এত দেরি হচ্ছে, রাজ্য সরকার যদি সঙ্গে সঙ্গে মেনে নেয়, তাহলে কালকে চাইলে কালকেই CAA চালু করে দিতে পারি। রাজ্য যেহেতু মানতে চাইছে না, তাই অন্য পথ দেখতে হচ্ছে।
পাল্টা কুণাল ঘোষ বলছেন, সুকান্ত মজুমদার এটা মনে রাখবেন, এনআরসি-সিএএ যত বলেছিলেন, তত মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আমার মনে হয়, তিনি বিষয়টি বোঝেননি। এই সব বড় বড় ব্যাপারে ঢোকার আগে, সুকান্ত মজুমদারের উচিত জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে দেওয়া উনি ট্রেনি সভাপতি নন, উনি আগে দলের সব অংশকে বোঝান,তিনি দল বোঝেন, তারপর এনআরসি-সিএএ নিয়ে আলোচনা হবে।
CAA এখনও কার্যকর না হওয়ায়, চাপ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, CAA নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করে, পুরভোটের আগে মতুয়াদেরই বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।