সমীরণ পাল, বনগাঁ : টোটো চালকদের টোটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। আর এই অভিযোগেই বনগাঁ বাটার মোড়ে অবরোধে বসেন নিমতলা আইএনটিটিইউসি ই-রিক্সা ইউনিয়নের টোটো চালকরা। 


স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আজ সকালে স্টেশন রোড চত্বরে যাত্রী তুলতে গেলে টোটো চালকদের বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, বনগাঁ রেল স্টেশন আইএনটিটিইউসি ই-রিক্সা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিমতলা আইএনটিটিইউসি ই-রিক্সা ইউনিয়নের টোটো চালকদের টোটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। আর তারপরই টোটো চালকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বেলা বারোটা নাগাদ বনগাঁ বাটার মোড়ে থেকে তাঁরা সুবিচারের দাবিতে অবরোধে বসেন। টোটো  চালকদের এই অবরোধে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। ঘটনার খবর জানা মাত্রই এলাকায় আসে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান করার দাবি জানিয়ে এবং সে ব্যাপারে আশ্বাস পেয়েই অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারী টোটো চালকরা।


বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসি সভাপতি নারায়ন চন্দ্র ঘোষ বলেন, 'কারা অবরোধ করেছে আমার ঠিক জানা নেই। তবে, শুনেছি টোটো চালকদের এই সমস্যা নিয়ে আগেও প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সকলকে চলতে হবে। বনগাঁ শহর একটি সীমিত টাউন। এখানে সমস্ত খেটে খাওয়া মানুষকে এক হয়ে চলতে হবে।' টোটো চালকদের এই দীর্ঘক্ষণ অবরোধে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কোনওভাবেই সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা যাবে না। প্রশাসন যা নির্দেশ দেবে, তাই সকলকে মেনে চলতে হবে। প্রশাসনের নির্দেশের অমান্য করা চলবে না।'


যদিও এই প্রসঙ্গে নিমতলা ই-রিক্সা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্বজিত চক্রবর্তী অন্য কথা বলছেন। তিনি সরাসরি আঙুল তুলছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসি সভাপতি নারায়ন চন্দ্র ঘোষের দিকে। তিনি বলছেন, 'এটা পুরোটাই আইএনটিটিইউসির বনগাঁ জেলা সভাপতি নারায়ন ঘোষের নেতৃত্বে হচ্ছে। তিনিই আমাদের টোটো চালাতে দিচ্ছেন না।' যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি নারায়ন বাবু।