সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paraganas) হাবড়ায় (Habra) তৃণমূল পরিচালিত কুমড়া Kumra) গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে । বিতর্ক ঢাকতে তৎপর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। গতকাল হাবড়া বিডিও অফিসে বৈঠক করে অনাস্থার বিষয়টি মুলতবি করা হয়। কয়েকদিন আগে হাবরার কুমড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ জন তৃনমূল সদস্য পঞ্চায়েত প্রধান রত্না বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। এই পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৯। এই ২৯ আসনের মধ্যে ২৯ জনই তৃণমূলের।
কিন্তু দলের অন্দরেই বিতর্কের জেরে কুমড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রত্না বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে হাবড়া একটি বিডিও অফিসে ম্যারাথন বৈঠক করলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বারাসাত সভাপতি অশনি মুখার্জি, হাবড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি জ্যোতি চক্রবর্তী, হাবরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা। উপস্থিত ছিলেন কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রত্না বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিক্ষুদ্ধ সদস্যরাও। কোনওভাবে গতকাল সদস্যদের নিয়ে বসে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা হয়। যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্যই যে এই ম্যারাথন বৈঠক, তা মানতে চাননি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিতবাবু থেকে শুরু করে হাবড়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি জ্যোতি চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা জানান, উন্নয়ন নিয়েই তাঁদের এদিনের বৈঠক ছিল।
যদিও বিজেপি আজকের এই ঘটনাক্রমকে কটাক্ষ করেছে। বিজেপি নেতা নীলরতন মিত্রের দাবি ,এভাবে ১তোড্যামেজ কন্ট্রোল করা যাবে না। কুমড়োর ২৯ জন সদস্যের মধ্যে ২১ জন রত্না বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। কোনওরকমে এ যাত্রা ব্যাপারটি মেটানো গেছে। কিন্তু তৃণমূলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে উন্নয়নের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং আসন্ন পৌর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই হয়তো তৃণমূল নেতৃত্ব সদস্যদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করল। কিন্তু সেই ক্ষোভ অচিরেই আবার প্রকাশিত হবে।
সবমিলিয়ে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এলাকায় এই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব আবার যে প্রকট হবে, তাই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও প্রধান রত্না বিশ্বাস জানান, কয়েকটি ব্যাপারে সদস্যদের মধ্যে মতামতের অমিল হয়েছিল ঠিক। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এসেছে ,এমন খবর নাকি তার জানা নেই।