ব্যারাকপুর : সোমনাথ শ্যাম ও অর্জুন সিংয়ের যুদ্ধে 'কুরুক্ষেত্র' ব্যারাকপুর। ব্যারাকপুরের সাংসদকে নাম না করে এবার 'ফাইল' হুঁশিয়ারি দিলেন জগদ্দলের বিধায়ক। "আমার কাছে একটি হলুদ রঙের ফাইল আছে। সেই ফাইল আমি খুব শীঘ্রই খুলব। সেইদিন পালানোর জায়গা পাবেন না", বলে অর্জুন সিংয়ের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিলেন সোমনাথ শ্যাম।


সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে জগদ্দলের বিধায়ক বলেন, "আপনি বড় বড় বুলি দিচ্ছেন। অনেক কথা বলছেন। আমার কাছে একটি হলুদ রঙের ফাইল আছে। সেই ফাইল আমি খুব শীঘ্রই খুলব। সেইদিন পালানোর জায়গা পাবেন না। কোথাও লোকাবেন না। সেই মুখ আপনি খুঁজে পাবেন না। সাদ্দাম হুসেনের মতো লুকানোর জায়গা তৈরি রাখুন। জায়গা খুঁজে নিন। আপনার থেকে বড় চোর কে আছে ? যে মানুষের টাকা চুরি করেছে, সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করেছে। এর থেকে বড় চোর কেউ হবে ? চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের পাস করাতে টাকা নিয়েছেন। কোন টাকা আপনি নেননি ? ভাটপাড়া পুরসভাটাকে আপনি লুঠে খেয়ে নিলেন। প্রায় ৩০০ মানুষের গ্র্যাচুইটি খেয়ে গেলেন, পিএফের পয়সা খেয়ে গেলেন। কন্ট্রাক্টরদের পয়সা খেয়ে নিলেন। কত বড় পেট আপনার আমি তো এখনও বুঝলাম না। আপনার যে ফাইলটা আছে তাতে তো দেখছি একটা পেটে এত কিছু হতে পারে না। রাবণের পেটেও এত কিছু যায়নি, যত আপনার পেটে গেছে। ওই পেট চিরে সব বের করব, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করে দেব। যদি এক বাপের ব্যাটা হন পদত্যাগ করুন, আমিও দেব। দিয়ে দেখাব কার কত দম আছে ! প্রভাব দেখাবেন না। আপনার হনুগিরি শেষ । এবার আপনাকে আমি হনু দেখাব।"


খুন ঘিরে সাংসদ বনাম বিধায়কের বাগযুদ্ধে জগদ্দল-ভাটপাড়ায় বেআব্রু হয়ে গেছে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ! শুক্রবারের পর শনিবার তা আরও প্রকট হয়ে যায়! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার পরও, ব্য়ারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে লাগাতার নিশানা করে গেছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্য়াম। যা নিয়ে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব কখনও কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। লাগাতার সেই কোন্দলের আবহে গতকাল তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের নীরবতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন অর্জুন সিংহ। পাল্টা সুর চড়ান জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্য়ামও।  


তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে নিজের আত্মীয় পাপপু সিং-এর গ্রেফতারিতে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অর্জুন সিং। এবার আরও একধাপ এগিয়ে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং। সাংসদ বনাম বিধায়কের সংঘাতের জল এখন কতদূর গড়ায়, সেটাই দেখার।