সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দ্বাদশীর সকালে দেখা গিয়েছিল সৌজন্যের নজির। তাল কাটল লক্ষ্মীপুজোর সকালে। সৌজন্য দেখে বিরোধী দলের যে প্রার্থীকে আশীর্বাদ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ করলেন খড়দার বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত কাজল সিন্হার স্ত্রী।


দ্বাদশীর দিন প্রচারে বেরিয়ে খড়দার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত কাজল সিন্হার বাড়িতে যান বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা! প্রয়াত প্রার্থীর ছবিতে মালা দিয়ে পাঁ ছুঁয়ে প্রণাম করেন তাঁর স্ত্রীকে। প্রার্থীকে আশীর্বাদও করেন প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী।


লক্ষ্মীপুজোর সকালেই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে খড়দা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া স্বামীর ছবি ব্যবহার করে বিজেপি সোশাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে।


তৃণমূল নেত্রী ও মৃত কাজল সিন্হার স্ত্রী নন্দিতা সিন্হা বলেছেন, আমার প্রয়াত স্বামীর নাম নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমার অনুমতি নেয়নি। এই প্রচারে আমার প্রয়াত স্বামীর সম্মানহানি করা হয়েছে।


এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তাকে অভিযোগ জানান খড়দা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুকণ্ঠ বণিক। তিনি বলেছেন, দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


যদিও বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির হিসেবেই প্রচারে  কাজল সিনহার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। খড়দা বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা বলেছেন, রাজনৈতিক সৌজন্যের জন্য ছবি ব্যবহার করেছি। নন্দিতা সিনহার ওপর দলের চাপ আছে। । রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আমি ব্যবহার করিনি। আমি সিপিএম প্রার্থীকে সৌজন্য দেখিয়েছি। রাজনৈতিক সৌজন্যতায় বিশ্বাস করি।


বিজেপি, কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার বিজেপি সভাপতি কিশোর কর বলেছেন, স্থানীয় ছেলে প্রার্থী। সকলের কাছে সহযাগিতা চাইছে। রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়েছি। এতে অন্যায় কিছু নেই।


একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খড়দা কেন্দ্রে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শীলভদ্র দত্তকে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। কিন্তু সেই জয় দেখার আগেই, মৃত্যু হয় তাঁর। জয়ী প্রার্থীর মৃত্যুতে ৩০ অক্টোবর এই কেন্দ্র উপনির্বাচন।ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে উত্তেজনার পারদ।