সমীরণ পাল ও ঝিলম করঞ্জাই, উত্তর ২৪ পরগণা: ঋণের (Loan) আবেদন করেননি। অথচ, টাকা আদায়ে বাড়িতে হাজির হলেন ঋণদানকারী সংস্থার কর্মী। এমনই অভিযোগ ব্যারাকপুরের (Barrackpur) মণিরামপুরের এক বাসিন্দার। ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।


ঋণের আবেদন না করেও টাকা আদায়ে বাড়িতে হাজির সংস্থার কর্মী


এ যেন উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে। ঋণ না নিয়েও, বাড়িতে টাকা আদায়ে হাজির সংস্থার কর্মী। বকেয়া মেটানোর দাবি জানালেন রিকভারি এজেন্ট।


ঋণ না নিয়েও হতে হয়েছে এমনই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি। দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের মণিরামপুরের বাসিন্দা সুকান্ত মিশ্রর। বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুকান্ত জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে ঋণদানকারী সংস্থার এক রিকভারি এজেন্ট তাঁর বাড়িতে আসেন। তখন, তিনি বাড়িতে ছিলেন না। রিকভারি এজেন্ট দাবি করেন, মাস পাঁচেক আগে, তাঁর নামে দেড় হাজার টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। ঋণের বকেয়া হিসেবে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা চাওয়া হয়।


সুকান্ত মিশ্র ও তাঁর পরিবারের কী দাবি?


ঋণ না নিয়েও, ঋণদানকারী সংস্থার বাড়ির লোক আসায় অবাক হয়ে যায় পরিবার। তাদের দাবি কোনও ঋণই নেননি সুকান্ত মিশ্র। অভিযোগকারীর কথায়, 'উনি বলছেন লোন অ্যামাউন্ট দেড় হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। পোর্ট করার জন্য নথি দিই, সেই ছবি ছিল ওদের কাছে। লোন শো করাচ্ছে।'


লোনের কোনও আবেদন না জানালেও, তাঁর নামে একটি লোন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মী।


অভিযোগকারীর বোন টুইঙ্কল মিশ্র বলছেন, 'কীভাবে লোন হয়ে গেল? খুবই অবাক লাগছে। জিজ্ঞাসা করলে বলছে ওঁর নামে লোন আছে। বিস্তারিত জানতে চাইলে অফিসে যেতে বলেন। ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের ছবি দেখায় সুকান্তের।'


আরও পড়ুন: North 24 Paraganas: ক্লাবের উদ্যোগে গণবিবাহ, বাঙালি রীতি মেনে সাত পাক বাঁধা পড়লেন ৫ জুটি


যদিও এনিয়ে ঋণদানকারী সংস্থার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ করেছেন সুকান্ত। কীভাবে অন্যের নথি ব্যবহার করে ঋণের আবেদন করা হল, এই চক্রে কারা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।