উত্তর ২৪ পরগনা: পরপর ট্রেন বাতিল হওয়ায় ভোর থেকে শিয়ালদার দুই শাখায় রেল অবরোধ। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশনে রেললাইনে লোহার পাত ফেলে আটকে দেওয়া হয় আপ ক্যানিং লোকাল।শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনেও ভোর ৪টে ৪০ থেকে অবরোধ শুরু হয়। একইভাবে পরপর দুটি ট্রেন বাতিল হওয়ায় এই অবরোধ বলে জানা গেছে। রেল অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার বহু যাত্রী।
জানা গেছে, এদিন ভোরে প্রথম ট্রেনে বাতিল হয়। এরপর দ্বিতীয় ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে বারণ করা হয়। কারণ, ওই ট্রেন স্টাফ স্পেশ্যাল করা হয়েছে। ফলে এতে শুধু রেলের কর্মী, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরাই যেতে পারবেন। ফলে সাধারণ যাত্রীদের জন্য টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল না। তাঁদের উঠতেও বারণ করা হয়। বলা হয়, এই ট্রেনে উঠলে জরিমানা করা হবে। এরপরই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীদের বেশিরভাগই মহিলা ও ফুল বিক্রেতা। যাত্রীদের মধ্যে অনেক মহিলাই রয়েছেন, যাঁরা কলকাতা বা শহরতলিতে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। আবার ফুল বিক্রেতারাও রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুল নিয়ে যেতে না পারলে তা অবিক্রিত থেকে যাবে। তাঁরা ঠাকুরনগর স্টেশনের কাছে রেলগেটে অবরোধ শুরু করেন। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন গাইঘাটা থানার পুলিশ । করোনা আবহে নিয়ন্ত্রণবিধি জারি থাকায়, রেলের পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী, ভোর ৫টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীদের দাবি, এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। যাই হোক, যাত্রীরা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর।এই মুহূর্তে গাইঘাটা থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত চলছে ট্রেন।
শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশনে রেললাইনে লোহার পাত ফেলে আটকে দেওয়া হয় আপ ক্যানিং লোকাল। নিত্য যাত্রীদের দাবি, ভোর ৩টে ৪৫-এর প্রথম ট্রেন বাতিল হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। প্রতিবাদে ভোর ৫টা থেকে তালদি স্টেশনে শুরু হয় রেল অবরোধ। বেলা গড়ালে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে অবরোধকারীদের হাতাহাতি শুরু হয়।