সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: আবারও বড়সড় পথ দুর্ঘটনা। মোটর ট্রেনিং স্কুলের গাড়ির চাকা ভেঙে ঝিলে ঢুকে গেল আস্ত গাড়িটাই। আচমকা এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘোলা থানার পুলিশ।


চাকা ভেঙে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারের এক ঝিলের মধ্যে ঢুকে গেল মোটর ট্রেনিং স্কুলের গোটা গাড়ি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। গাড়ির ভেতরে কোনও ব্যক্তি আটকে আছেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে ঘোলা থানার পুলিশ।


অন্যদিকে গত পরশু, পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানা এলাকার নরঘাটে দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক পরিণতি হিসেবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। গুরুতর আহত হন অন্তত ৮। পরপর কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা মারে হেড়িয়া থেকে কলকাতাগামী বাস। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টোদিক থেকে আসা সবজি বোঝাই গাড়িকে ধাক্কা মারে বেসরকারি বাস। এরপর আরও কয়েকটি দিঘাগামী গাড়িকে ধাক্কা মারে বাসটি।  যান্ত্রিক ত্রুটি, না কি বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ।


তারও কিছুদিন আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দুর্ঘটনার খবর এসেছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গিয়েছিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। উল্টে যাওয়া বাসের যাত্রীরা প্রায় সকলেই অল্পবিস্তর জখম হয়েছিলেন। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছিল রায়নার মিরেপোতা এলাকায় বর্ধমান আরামবাগ রোডে। 


আরও পড়ুন: Manipur Attack: মণিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত বাঙালি জওয়ান, আজ দেহ পৌঁছবে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে, শোকের ছায়া এলাকায়


কিন্তু কীভাবে ঘটল এই অঘটন? স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটি কাইতি থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। মিরেপোতা বাজার পেরিয়ে বর্ধমান-আরামবাগ রোড ধরে যাওয়ার সময় হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসচালক। এরপর প্রথমে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা মারে বাসটি। তারপর সামলাতে না পেরে পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। ঘটনার জেরে খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছুক্ষণ ব্যহত হয় আরামবাগ রোডের যানচলাচল।