সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: জগদ্দলের জিলিপি মাঠের বড় বটগাছের ফাঁক-ফোকর থেকে উদ্ধার আটটি তাজা বোমা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে রামপুরহাট বগটুই গ্রামে হত্যালীলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতোই অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারে জোর দিয়েছিল জগদ্দল থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে জগদ্দলের গোলঘর জিলিপি মাঠের ধারে একটি বিশালাকার বট গাছের ফাঁক-ফোকর থেকে আটটি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। গত শুক্রবার ভোরে শ্যামনগর প্রভাতী সংঘ মাঠ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিনজনকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান জারি থাকবে।
গতকাল বোমাবাজি হয়েছিল
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে যুব তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি। অভিযোগ, গতকাল রাতে চিলাখানা ২ নম্বর অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব রায়ের বাড়ির সামনে বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে ঘরবন্দি ছিল যুব তৃণমূল নেতার পরিবার। সকালে বাড়ির সামনে বোমার টুকরো, সুতলি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে। ডাম্পারে মাটি নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় গন্ডগোল চলছে। তার জেরেই বোমাবাজি বলে যুব তৃণমূল নেতার আশঙ্কা।
রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলায় জেলায় বোমা, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশি তত্পরতা চোখে পড়ল এদিন। বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৬০টি তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সকালে ছোট ডাঙাল গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। গ্রামের সেচ খালের ধারে ৬টি জার উদ্ধার হয়। জারের মধ্যে মেলে তাজা বোমা। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।
উল্লেখ্য, গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও উদ্ধার হয় বোমা। ধলহারা বরডাঙা এলাকায় ফাঁকা জমি থেকে শ’ খানেক বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলাজুড়ে লাগাতার অভিযান চলবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।