কলকাতা: দক্ষিণ বনগাঁ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের মামলায় স্থগিতাদেশ। কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata HighCourt) সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench)।


কী নির্দেশ:
স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আলোরানি সরকারের নাগরিকত্বের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের এই অংশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।


আগে কী হয়েছে:
বাংলাদেশের ভোটার লিস্ট (Voter List) আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে, তাই আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন খারিজ করেছিল আদালত। আবেদন খারিজ করেছিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।  


নির্দেশ খারিজ করে জানানো হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে আলোরানি সরকারের। তাই নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না আলোরানি। নাগরিকত্বের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলোরানি মজুমদার। তারপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। 


বিজেপির জয়ী প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতেই আদালতে স্বপন মজুমদারের আইনজীবী জানান, আলোরানি বাংলাদেশের নাগরিক। পর্যবেক্ষমের পর বিচারপতি জানান, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে কোনও ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না। এটা বেআইনি। 

এই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। একটি টুইটে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধানের ২৯-এ ধারার ৫ নম্বর উপ ধারা অনুসারে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধি লঙ্ঘন করেছে। একজন বিদেশি নাগরিককে নির্বাচিত করার চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তারা দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি নষ্টের চেষ্টা করেছে। এ ধরনের রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন কী বাতিল করা উচিত নয়?' 


আরও পড়ুন: বাঁধে ফাটল, বর্ষার আগে আশঙ্কায় কাঁটা কুলিকপাড়ের বাসিন্দারা