সমীরণ পাল, আমডাঙা : আমডাঙার করুণাময়ী কালী মন্দিরের সমস্ত সোনার গয়না উদ্ধার করল আমডাঙা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার খোয়া যাওয়া সোনার গহনা এবং বিগ্রহের হাতে থাকা অস্ত্রাদি চন্দ্রকোনার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোনার মূর্তি উদ্ধার হয়েছে, তবে সোনার মুকুট খণ্ড খণ্ড করে ফেলেছিল দুষ্কৃতীরা ।
এই ঘটনায় আগেই ছয় জনকে গ্রেফতার করেছিল আমডাঙা থানার পুলিশ । তাদের মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধার করা হয় সমস্ত সোনার গয়না। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও এক দুষ্কৃতী পলাতক । প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই দুষ্কৃতীরা যাযাবরের বেশে এলাকায় ঘুরে বেড়াত ।
আরও পড়ুন :
করোনা-থাবা এবার সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের দফতরে ! আক্রান্ত একের পর এক
কথিত আছে, আমডাঙা করুণাময়ী কালী মন্দির প্রায় ৪৭৭ বছরের প্রাচীন। বহু মানুষ মনস্কামনা পূরণ হলে এখানে পুজো দেন। অনেকে আবার গয়না দিয়ে দেবীকে পুজো দেন। দেবীমূর্তির গয়না ছাড়াও মুকুট , হাতের অস্ত্র সবই সোনার। স্থানীয়দের দাবি, সোনার খাঁড়ার ওজনই প্রায় ৭০০ গ্রাম। জানা গিয়েছে ওই মন্দির থেকে খোয়া যায় প্রায় কোটি টাকার গয়না। জাতীয় সড়কের এক পাশে থানা, অন্যদিকে কালী মন্দির। থানা থেকে দূরত্ব মেরেকেটে ২০০ মিটার মতো। থানার নাকের ডগায় কীভাবে এই ঘটনা ঘটে গেল , প্রশ্ন তোলেন অনেকেই । খবর পেয়ে সেখানে যান আমডাঙার বিধায়ক রফিকুল রহমানও। তিনিও এই ঘটনায় কার্যত তাজ্জব বনে যান।
এই মন্দিরে সিসিটিভি তো ছিলই, সেই সঙ্গে পাহারাতেও থাকেন মন্দির কর্তৃপক্ষের অনেকে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই দোবীমূর্তিতে হাত দিলে নাকি সাইরেন বাজার ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু এত নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে হল চুরি। তাই নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। ৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়।
স্থানীয়রা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধও করে।