সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বারবার অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার রাজ্যের বিরোধী দল।  এবার উত্তর ২৪ পরগনাতেও একই ছবি। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার পদত্যাগী ৫ বিজেপি সদস্যকে শোকজ নোটিস পাঠালেন জেলা বিজেপি সভাপতি। ৭ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশ পেয়ে পাল্টা তোপ এক বিজেপি নেতার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর ডাক দিয়েছেন তিনি।


আগে কী ঘটেছে:
দুর্নীতি নিয়ে অভিয়োগ তুলে বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে দলীয় পদ ছেড়েছিলেন ১৫ বিজেপি নেতা। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পদত্যাগী ৫ সদস্যকে শো-কজ নোটিস ধরিয়েছেন জেলা সভাপতি। রবিবার জেলা সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে গণইস্তফা দেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন বিজেপি সদস্য। পদত্যাগপত্রে জেলা সভাপতি তাপস মিত্রর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। আক্রোশের বশবর্তী হয়ে, অযোগ্য লোকেদের মুড়ি মুড়কির মতো পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে।


দলের বক্তব্য:
বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলায় শো-কজ করা হল। ৭ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।' দলের বিদ্রোহীদের শিক্ষা দিতেই কি পাল্টা কড়া পদক্ষেপের রাস্তায় হাঁটলেন বিজেপির জেলা সভাপতি? যদিও নোটিস পাওয়ার পরেও পদত্যাগী সদস্যরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দুর্নীতি ইস্যুতে তাঁরা তাঁদের অবস্থানে অনড়।  


বারাসাত সাংগঠনিক জেলার পদত্যাগী বিজেপি নেতা শ্যামল রায় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'জেলা সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।'
আরও একজন পদত্যাগী বিজেপি নেতা প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, 'যা বলার দলকে বলব। সংবাদ মাধ্যমে বলব না।'


তৃণমূলের কটাক্ষ:
বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল।


রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির মধ্যের দ্বন্দ্বের ছবি। পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়িতে দেখা গিয়েছে দ্বন্দ্বের ছবি। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া-সহ নানা জেলায় দেখা গিয়েছে এক ছবি। এর মধ্যেই রাজ্য-সফরে আসছেন অমিত শাহ।


আরও পড়ুন: কালো মেঘে ঢাকছে আকাশ, অক্ষয় তৃতীয়া-ইদের দিনে জেলায় জেলায় ঝড়-বৃষ্টি