কলকাতা: অনলাইনে (Cyber Crime) প্রতারণার (Fraud Case) নিত্যনতুন কৌশল। ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার অভিযান শুরু করল বারাসাত পুলিশ জেলা (Barasat Police)। গতকাল দত্তপুকুরে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। কীভাবে কাজ করছে অনলাইন প্রতারণা-চক্র, তা স্লাইড শোয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। উপস্থিত ছিলেন বারাসাতের (Barasat) এসডিপিও, দত্তপুকুর থানার আইসি-সহ পঞ্চায়েত প্রধানরা। পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।


উল্লেখ্য, ১৬ ডিসেম্বর এমন আরও একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। সোশাল মিডিয়ায় জয়েন্ট বিডিওর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট(acount) খুলে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।  ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের (west midnapore) কেশিয়াড়িতে। জয়েন্ট বিডিওর (BDO) অভিযোগ, তাঁর নামে কেউ ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে লোকের কাছে টাকা চাইছে।


বিষয়টি জানার পর তিনি কেশিয়াড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, একই ঘটনা ঘটেছে খড়গপুর টাউন থানার আইসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। তাঁর নামেও সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  পশ্চিম মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান খড়গপুর টাউন থানার আইসি।


প্রকাশ্যে এসেছিল আরও একটি অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। মালদা ডিআরএম অফিস থেকে ওই দুই যুবককে আটক করে আরপিএফ। পরে তাদের গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতারণা চক্রে আর কারা যুক্ত রয়েছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।                


ঠিক কী ঘটেছিল? 


রেলের গ্রুপ সি পদে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন ব্যান্ডেল এর বাসিন্দা কামেশ্বর সিংহ। দাবিমতো ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পেমেন্টও করা হয়। চাঁচোল-এর বাসিন্দা জ্যোতির্ময় পান্ডেকে নিয়োগ পত্র পাঠানো হয় মেল মারফত। গতকাল চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার পর আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় জ্যোতির্ময় পান্ডে এবং তাঁর মা রুমা পান্ডের। 


মালদা ডিএম অফিসের কাজে নিযুক্ত করতে আসা ২ যুবককে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আটক করেন তারা। খবর দেওয়া হয় আর পি এফ এ। ওই দুই যুবককে আটক করে আরপিএফ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে বেরিয়ে আসে আসল সত্য। ওই যুবক ও তার মা প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দিয়েছেন বুঝতে পেরে তাদের ইংরেজবাজার থানায় পাঠানো হয়। সেখানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবকের মা। এরপরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ আজাদ কুমার ও মোহাম্মদ ঈসা খান নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে।