সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা: সারা দেশ তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষিক্ষেত্র। এই উপর নির্ভর করেই বহু বাসিন্দা তাদের জীবনধারণ করে থাকেন। কৃষিনির্ভর অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যক্ষেত্র। বাংলায় বহু বাসিন্দা মাছচাষের সঙ্গে যুক্ত। মিষ্টি জলের মাছচাষ থেকে নোনা জলে মাছচাষ, সব ধরনের কাজই হয় এই রাজ্যে। সেই দিকে তাকিয়েই মৎস্যচাষিদের সুবিধার জন্য তিনদিনের শিবির শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে। নাম ইন্ডিয়ান ফিশারি আউটলুক (indian fishery outlook) ২০২২। চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।  


কোথায় হচ্ছে অনুষ্ঠান?
মঙ্গলবার ব্যারাকপুরের কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে উদ্বোধন হয়েছে এই অনুষ্ঠানের। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, উপস্থিত ছিলেন বিবেকানন্দ মিশনের সম্পাদক সুপর্ণনন্দ মহারাজ, ICAR-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ডক্টর জেকে জানা, ডক্টর বসন্ত কুমার দাস, ডক্টর রিজি জন কে, ডক্টর বিবি নায়েক-সহ আরও অনেক বিশিষ্টজন। এই আলোচনা শিবিরে যোগ দিয়েছেন ছশোরও বেশি মৎস্যবিজ্ঞানী। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের মাছচাষিরা। বাস্তবজীবনে মাছচাষিদের নানা সমস্যা এবং চাষ নিয়ে বিজ্ঞানীদের নানা মত-সব নিয়েই চলবে আলোচনা। 


কোন লক্ষ্যে এই আলোচনা?
কোন এলাকায় কীভাবে মাছ চাষ করলে বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে বেশি ফলন এবং বেশি লাভ হতে পারে। ছোট জায়গায় কীভাবে মাছ চাষ সম্ভব, সেগুলিও আলোচনা হবে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বাস্তবে চাষের অভিজ্ঞতার মেলবন্ধন ঘটবে এখানে, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় গরিব মৎস্যচাষিদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার, পুকুর কেটে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গেই মাছচাষিদের আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য নানারকম ব্যবস্থা করছে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর।' মাছচাষিদের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের (state government)। সেগুলির সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার কাজও চলছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। 


আরও পড়ুন: বিরোধী কাউন্সিলরদের ধর্তব্যের মধ্যে আনছে না তৃণমূল! বিষ্ণুপুর পৌরসভায় তরজা তুঙ্গে