সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পুকুর ভরাট রুখতে ফের তত্পর হল ভাটপাড়া পুরসভা (Bhatpara Corporation)। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর খোঁড়ার কাজে হাত লাগালেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor)। ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করলেন জমির মালিক ও তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ অস্বীকার কাউন্সিলরের।
দিনে দুপুরে এভাবেই পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভায়। অভিযোগ পেয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার সক্রিয় হল পুর কর্তৃপক্ষ!!! প্রায় বুজিয়ে ফেলা পুকুর থেকে তোলা হল মাটি। কিন্তু এই পুকুর বোজানো নিয়েই উঠল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ।
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে আঙুল তুললেন খোদ পুকুর মালিক ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী! এ ছবি ভাটপাড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মুলাজোড় এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রায় ২ বিঘা জুড়ে এই পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল।
কিন্তু কেন বেআইনিভাবে পুকুর বোজানোর চেষ্টা হচ্ছিল, এ প্রশ্নের জবাবে বিস্ফোরক পুকুরের মালিক, এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত রাজ বিশ্বাস। তিনি বলছেন, ''কাউন্সিলর পয়সা নিয়েছে। আমরা দিয়েছি। ১৫-২০ দিন ধরে কাজ হচ্ছে আগে বলেনি কেন। কাউন্সিলর আরও টাকা চেয়েছে দিইনি তাই খোঁড়া হয়েছে।''
টাকা নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অভিমন্যু তিওয়ারি বলেন, ''মেনেছি ও কর্মী আছে...বেআইনি কিছু তো করতে পারে না...নেত্রীর নির্দেশ আছে এমপি এমএলএ যেই হোক বেআইনি কাজ করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।''
এই চাপানউতোরের মধ্যে এদিন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের হস্তক্ষেপে ফের এই পুকুর খোঁড়ার কাজ শুরু হয়। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ''৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর খুঁচিয়ে দিয়ে এসেছিলাম...ভেবেছে কেউ গ্রেফতার হয়নি...তাই এই দুঃসাহস।''
এদিকে, পুকুর বোজানো নিয়ে ‘কাটমানি’-বিদ্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর, এই নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''প্রশাসনিক দলতন্ত্র কায়েম হয়েছে...তীব্র নিন্দা করছি...জানি না আগামীদিনে আরও বেশি টাকা দিয়ে বোজানো হবে কি না।''
এর আগে ভাটপাড়ারই ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ১০০ বছরের পুরনো পুকুর ভরাটের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে মাটি খুঁড়ে পুকুর ফিরিয়ে দেয় পুরসভা। এবার একই ঘটনা ঘটল ২০ নম্বর ওয়ার্ডে।