সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  বুধবার সাতসকালে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবার সেই ঘটনায় মুখ খুললেন অর্জুনের ছেলে পবন সিংহ। রীতিমতো প্রশাসন ও পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছেন অর্জুন পুত্র। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'সকালের দিকে এই বোমাবাজি করা হয়েছে। সব ছোট ছোট ছেলে ছিল। ওরাই এই আক্রমণ করেছে। সবাই ৮-৯ বছরের ছেলে রয়েছে। তারাই আক্রমণ করেছে। পুলিশ প্রশাসন কড়া না হলে কী করা যাবে আর।'   


তিনি আরও বলেন, 'সাংসদের বাড়়ির সামনে এই প্রথমবার হয়নি এই আক্রমণ। এর আগেও বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। এখানে যেভাবে দুষ্কৃতিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে, তা নিয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। এখানে অপরাধমূলক কার্যকলাপ ক্রমেই বেড়েছে। সেই নিয়ে বারবার পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।' 


তিনি আরও বলেন, 'সকালের দিকে একটু মারপিট করেছিল বাচ্চা ছেলেরা। কিন্তু তার জন্য তো কখনও কোনও সাংসদের বাড়িতে বোমাবাজি করতে পারে না। এখানে অপরাধমূলক কাজ করতে করতে সব ক্রিমিনালদের সাহস বেড়ে গিয়েছে। এখানে ওরাও বুঝে গিয়েছে যে ওপর মহলের সমর্থন রয়েছে হয়ত ওদের সঙ্গে। পুলিশ কেন নিশ্চুপ এটাই মাথায় ঢুকছে না।'



তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় বিজেপির লোকেরাই করেছেন। সেই ইস্যুতে পবন সিংহ বলেন, 'এটা তো প্রথমবার নয়। এর আগেও ওঁরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে বিজেপির নেতা, কর্মীদের ওপর তা চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এমনটা কখনও কাম্য নয়।'


উল্লেখ্য, এদিন সাতসকালে অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজি হয়। সকাল ৬টা নাগাদ জগদ্দলে বিজেপি সাংসদের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ৩টি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। একটি বোমা সাংসদের বাড়ির দরজা ও অপর বোমাটি উল্টোদিকে সিআইএসএফ জওয়ানদের পাহারাস্থলের কাছে ফাটে। নেপথ্যে তৃণমূলের হাত, দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এ নিয়ে শাসকদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। রাজনৈতিক কারণ? নাকি অন্য কোনও কারণে বোমাবাজি, খতিয়ে দেখছে জগদ্দল থানার পুলিশ। 


বিজেপি সাংসদের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর ট্যুইট, 'পশ্চিমবঙ্গে হিংসা থামার কোনও লক্ষণ নেই। সকালে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির বাইরে বোমা বিস্ফোরণ। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। রাজ্য পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিক। আগে থেকেই প্রশ্ন ছিল, সাংসদের নিরাপত্তা নিয়ে।'