সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত নৈহাটি থানার অন্তর্গত হালিশহর কোনা মোড় জগন্নাথ ঘাট এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিট্টু জয়সবালকে। তাঁকে শনিবার পেশ করা হল ব্যারাকপুর আদালতে। নৈহাটি থানার পক্ষ থেকে ব্যারাকপুর আদালতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিট্টু জয়সবাল জানান, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ তাকে ফাঁসানো হচ্ছে যেহেতু তিনি বিজেপি করেন সেই কারণে।


বিস্ফোরণের (Halisahar Blast)অভিঘাত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না হালিশহরবাসী। তার মধ্যেই শুক্রবার গঙ্গার ঘাটে বিস্ফোরণস্থল থেকে মিলল দেহাংশ। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিভাগ এবং বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা। তাঁরাই দেহাংশ উদ্ধার করেন। 


পুলিশের সন্দেহ, মাটির নীচে বোমা মজুত করে রাখা ছিল। তা থেকেই তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং তাতেই মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক কলেজ পড়ুয়ার। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে,  ১৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে তাঁর দেহ। নৈহাটি থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। সন্দেহভাজন আরও দু’জন নিখোঁজ। 


বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ আচমকাই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News) নৈহাটি থানার অন্তর্গত হালিশহর কোনা মোড় গঙ্গার ঘাটে। বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে, তার অভিঘাতে প্রায় আড়াই ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয় ঘটনাস্থলে। তাতে মৃত্যু হয় সুমিত সিংহ নামের ১৯ বছরের এক কলেজ পড়ুয়ার। ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পাঠরত ছিলেন তিনি। পুলিশ এসে তাঁর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করে। 


 এই ঘটনাকে ঘিরে গত কালথেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে হালিশহরে। ব্যারাকপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, অর্জুনের নির্দেশে সেখানে বোমা তৈরি হচ্ছিল। তা ফেটেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল (TMC_ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের স‌ংযোগ রয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অর্জুন। নিজেদের গা বাঁচাতে তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে বলে দাবি অর্জুনের।