সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দল ছাড়ার পরেও বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের দ্বন্দ্ব অব্যাহত। বাগদার বিধায়ক দল ছাড়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন বনগাঁর সাংসদ। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশ্বজিৎ দাস দল ছাড়লেও, বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। বাগদার বিধায়ক টিকিট পান, তা তিনি চাননি। বিশ্বজিৎ দাসের কটাক্ষ, রাজনীতিতে অপরিণত শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁর সাংসদের জন্যই তিনি দল ছেড়েছেন বলে দাবি বিজেপিত্যাগী বিধায়কের।
দলবদল নিয়ে বিশ্বজিৎ দাসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শান্তনু ঠাকুরও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, তাঁর আপত্তির পরেও প্রার্থী করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে। একই সঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, উপনির্বাচন হলে বাগদায় জিতবে বিজেপি। পাল্টা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাগদার বিধায়ক।
বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, এখনও এক সপ্তাহ হয়নি! আর এই শিবির বদল ঘিরেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক তরজা। কেন তৃণমূল থেকে আসা বিশ্বজিত্ দাসকে বিধানসভা ভোটে টিকিট দিয়েছিল দল, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
বনগাঁর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কথায়, আমরা বারণ করেছিলাম বিশ্বজিৎ দাসকে টিকিট দেওয়ার জন্য। কী কারণে পেয়েছে সেটা বলব না, যারা টিকিট দিয়েছে তৃণমূলে চলে গেছে এমনও হতে পারে।
পাল্টা জবাব দিয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী বাগদার বিধায়কও। পাল্টা মন্তব্য করে বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, 'আমি তো বলেছি কেউ পার্টিতে আসে করে খেতে, কেউ আসে ব্ল্যাকমেল করতে, একথা জেলা সভাপতিও বলেছে,যার রাজনৈতিক বয়স তিন বছর পার হয়নি তার সম্পর্কে কী বলব।'
শিবির বদল ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, একাধিক ইস্যুতে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে বিশ্বজিৎ দাসের। সেই সংঘাত এখন আরও তীব্র হল।